দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে পুরো শীতের মরসুম ভর পর্যটকরা দেশে বিদেশের না না স্থানে পাড়ি দেন। তেমনই এই সময় প্রচুর পর্যটক ভিড় জমিয়ে থাকেন অসমের কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানে ও। কিন্তু তার মধ্যে আশ্চর্যজনক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কাজিরাঙ্গা কর্তৃপক্ষ। অর্নিদিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে হাতি সাফারি। ২৪ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর করা হয়েছে নতুন নির্দেশিকা।
জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে অসমের বন দফতর থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। হাতির পিঠে চড়ার একটি করে আসন বনকর্তাদের জন্য সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বন দফতের এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করে সরব হয়েছেন কাজিরাঙা কর্তৃপক্ষ। নির্দেশিকাটি অবস্তাব বলে জানানো হয়। এরপরেই নির্দেশিকা প্রত্যাহারে রাজ্য সরকারের উপর চাপ তৈরি করতেই হাতি সাফারি বন্ধের সিন্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
কাজিরাঙা কর্তৃপক্ষের হাতি সাফারি বন্ধের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কয়েকদিন আগে একটি বৈঠক ডেকেছিল বন দফতর। কিন্তু সেই বৈঠকে সমাধান সূত্রে বের হয়নি। উলটে বন দফতরের কর্তাদের বিরুদ্ধে বিরূপ আচরণের অভিযোগ উঠেছে।
হঠাৎ করে কাজিরাঙায় হাতি সাফারি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণায় পর্যটকদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। যদিও এই স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করা হয়েছে জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে। পর্যটকদের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত বলে দেওয়া হয়েছে সাফাই। সেই সঙ্গে পর্যটকদের কথা চিন্তা করে সরকারি নির্দেশিকা প্রত্যাহারের জন্য করা হয়েছে আবেদন।
কোভিডেরর জন্য দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল অসমের কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান। চলতি বছরে উদ্যানের দরজা খুলে দেওয়া হয়েছিল পর্যটকদের জন্য। সেই সঙ্গে হাতি সাফারি পুনরায় চালু করার কথা গত নভেম্বর মাসে ঘোষণা করা হয়। এরজন্য দুটি রেঞ্জে পর্যটকদের যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন কাজিরাঙা কর্তৃপক্ষ।
ইউনেস্কো হেরিটেজের তকমা পেয়েছে কাজিরাঙার জাতীয় উদ্যানের হাতি সাফারি। আগে হাতি সাফারি হত বিকালে। কোভিডের সময় এই সাফারি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। নতুন করে চালু হওয়ার পর বিকেলের পরিবর্তে সকাল থেকে সাফারি চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই হাতি সাফারির সুযোগ মিলবে বলে জানানো হয়। কিন্তু তার আগেই হাতি সাফারি স্থগিত হয়ে যাওয়ায়, শুরু হয়েছে জল্পনা।