Travel

1 year ago

Odisha Eco-Tourism: 'সাতকোশিয়া ইকো-ট্যুরিজম' - জঙ্গল পাহাড় নদীর অনন্য মিশ্রণ

Odisha Eco-Tourism
Odisha Eco-Tourism

 

 দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃকংক্রিটের জঙ্গল ছেড়ে প্রকৃতির মাঝে বেড়াতে যেতে চান সকলেই। এই কারণে এখন বিভিন্ন রাজ্যে গড়ে উঠছে ইকো-ট্যুরিজম হাব। সেখানে থাকা-খাওয়া যেমন সস্তা, তেমনই প্রকৃতির কোলে প্রাণ ভরে মুক্ত বাতাস পাওয়া যায়। পশ্চিমবঙ্গেও রয়েছে এমন ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্র। তবে, বর্ষায় পাড়ি দিন প্রতিবেশি রাজ্যে। ওড়িশার বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্র। তারই মধ্যে অন্যতম হল সাতকোশিয়া।মহানদী সাতক্রোশ পথ ধরে এসেছে সাতকোশিয়ায়। নদীর পার ঘেঁষেই গড়ে উঠেছে সাতকোশিয়া। পাহাড়, অরণ্যে ঘেরা গোটা জায়গা। যদিও এই জায়গাটির আসল নাম সাতকোশিয়া টাইগার রিজার্ভ। অর্থাৎ, এখানে বাঘের দেখা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাঘ ছাড়াও সাতকোশিয়ার জঙ্গলে হাতি, হরিণ, লেপার্ড, বাইসন ইত্যাদি বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে। এছাড়া চেনা-অচেনা পাখির ডাকও শুনতে পাবেন। সিমলিপালের পর সাতকোশিয়া ওড়িশার দ্বিতীয় বৃহত্তম টাইগার রিজার্ভ। ৮০০ বর্গকিলোমিটার জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এই বনাঞ্চল।

সাধারণত দেশের অভয়ারণ্যগুলো বর্ষায় পর্যটকদের জন্য বন্ধ থাকে। কিন্তু সাতকোশিয়ায় আপনি বৃষ্টি উপভোগ করতে যেতে পারবেন। পূর্বঘাট পাহাড়ের মাঝ বরাবর বয়ে চলেছে মহানদী। এই উপত্যকার সকাল মোহময়ী। মহানদীর জলের উপর সূর্যের ছটা পড়ে। তারপরেই সূর্যের আলোয় সেজে ওঠে গোটা উপত্যকা। সাতকোশিয়ার ইকো-ট্যুরিজমে রয়েছে ক্যাম্পিং, বোটিংয়ের সুযোগ।

সিমলিপালের পর সাতকোশিয়া ওড়িশার দ্বিতীয় বৃহত্তম টাইগার রিজার্ভ। ৮০০ বর্গকিলোমিটার জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এই বনাঞ্চল। সাধারণত দেশের অভয়ারণ্যগুলো বর্ষায় পর্যটকদের জন্য বন্ধ থাকে। কিন্তু সাতকোশিয়ায় আপনি বৃষ্টি উপভোগ করতে যেতে পারবেন। পূর্বঘাট পাহাড়ের মাঝ বরাবর বয়ে চলেছে মহানদী। এই উপত্যকার সকাল মোহময়ী। মহানদীর জলের উপর সূর্যের ছটা পড়ে। তারপরেই সূর্যের আলোয় সেজে ওঠে গোটা উপত্যকা। সাতকোশিয়ার ইকো-ট্যুরিজমে রয়েছে ক্যাম্পিং, বোটিংয়ের সুযোগ।

সমস্ত রকম সুযোগ আছে এই অভয়ারণ্যে। এখানে রয়েছে নেচার ক্যাম্প। সেখান থেকে প্রায় দু’কিলোমিটার আপনি জঙ্গলের মধ্যে হেঁটে ঘুরে বেড়াতে পারবেন। এই সময়ে দেখা মিলতে পারে জায়ান্ট স্কুইরেল, ওরিয়েন্টাল ব্লু ম্যাগপাই বা প্যারাডাইস ফ্লাইক্যাচারের। আবার কখনও মহানদীর পার ধরে এগিয়ে চললে দেখতে পারেন পাথরের উপর রোদ পোয়াচ্ছে কুমির, কচ্ছপ। নেচার ক্যাম্প থেকে ঘুরতে যেতে পারেন লবঙ্গির জঙ্গল, পুরানাকোট, বাঘমুন্ডা, ঘড়িয়াল রিসার্চ‌ সেন্টার। সব দিক মিলিয়ে অপূর্ব ঘোরার জায়গা।

যাওয়া - জঙ্গল, পাহাড় ও নদীতে ঘেরা সাতকোশিয়া পৌঁছাতে পারেন রেলপথে। হাওড়া থেকে সম্বলপুর এক্সপ্রেসে অঙ্গুল পৌঁছে যান। আবার অঙ্গুল থেকে গাড়ি নিয়ে সাতকোশিয়া। কটক থেকেও অঙ্গুল হয়ে পৌঁছাতে পারেন সাতকোশিয়া। তবে, এটা একটু ঘুরপাক রাস্তা।

থাকা - সাতকোশিয়ায় ক্যাম্পিং সবচেয়ে জনপ্রিয়। আর এটাই তো ইকো-ট্যুরিজমের বৈশিষ্ট্য। অনলাইনে বুক করতে পারেন ওড়িশা ইকো-ট্যুরিজমের নেচার ক্যাম্পগুলি। এসি ও নন-এসি তাঁবু পেয়ে যাবেন।

এখানে থাকা-খাওয়া নিয়ে জনপ্রতি ২,৫০০ টাকা খরচ হবে। এছাড়াও রিসর্ট রয়েছে। সেখানেও খরচ ৩,০০০ টাকার মতো।


You might also like!