দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ নেওড়া ভ্যালি অভয়ারণ্যের কোলে অবস্থিত এই সান্তুক। কালিম্পংয়ের অন্যান্য পাহাড়ি গ্রামের মতোই নির্জন এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ। কালিম্পংয়ের অন্যান্য পাহাড়ি গ্রামগুলোতে যেভাবে পর্যটকদের আনাগোনা রয়েছে, তেমনই ভিড় নেই সান্তুকে। তবে, বরাবরই সান্তুকের আশেপাশের পাহাড়ি জঙ্গলে মানুষ ট্রেক করতে যেতেন। এবার নির্জনতার খোঁজে মানুষ পাড়ি দিচ্ছেন সান্তুকে। কালিম্পংয়ের আলগারা হয়ে পৌঁছতে হয় সান্তুক। আলগারা থেকে সান্তুক প্রায় ৫ কিলোমিটার। কালিম্পং বাজার থেকেই গাড়ি পেয়ে যাবেন সান্তুক যাওয়ার।
যদি শেয়ার গাড়ি নেন তাহলে মাত্র ৭০ টাকাতেই পৌঁছে যাবেন আলগারা। আর যদি সরাসরি সান্তুক যেতে চান, তাহলে মাত্র ২০ টাকা খরচ করেই কালিম্পং থেকে পৌঁছে যাবেন এই অফবিটে। নেওড়া ভ্যালি অভয়ারণ্যের কোলে অবস্থিত এই সান্তুক। কালিম্পংয়ের অন্যান্য পাহাড়ি গ্রামের মতোই নির্জন এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ। সান্তুকে হোমস্টের সংখ্যা সীমিত।
রেয়িং নদী এবং পায়ুং নদীর মাঝে অবস্থিত রামাইলো সান্তুক। আর সান্তুকের ৫ কিলোমিটার আগে থেকেই দেখা মিলবে রেলি নদীর। গ্রামে পৌঁছেই আপনি দেখতে পারেন রামাইলো সান্তুকের বোর্ড। গ্রামের রাস্তা ধরে উপরে উঠলে পৌঁছে যাবেন ক্যাম্পিং সাইটে।
-ট্যুরিজ়মের অংশ রামাইলো সান্তুক। পাহাড়ের চূড়ায় গড়ে উঠেছে এই ক্যাম্প সাইট। রামাইলো সান্তুকের ক্যাম্প সাইট পৌঁছে দেখা যাবে সবুজে ঘেরা কালিম্পংয়ের পাহাড়। আর কান পাতলে শোনা যাবে পাখিদের কলরব। বাঁশের তৈরি গোটা ক্যাম্প সাইট। আর তাঁবুগুলো ঝোলানো। এখানে চাইলে দু’রাত কাটাতে পারবেন। আর এই ক্যাম্প সাইটের মজা হল, এখান থেকে ট্রেক করতে পারবেন রেলি নদী। জঙ্গল, পাহাড়, ঝর্না টপকে রেলি নদীর পথ ধরে ট্রেক করতে পারবেন। লাভা, লোলেগাঁও ঘুরে পৌঁছাতে পারেন সান্তুকের ক্যাম্প সাইটে।এমন মনোরন ভ্রমণ স্পট হাতছাড়া করবেন না।