দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃবর্ষায় জঙ্গল আরও সবুজ হয়ে ওঠে। আর পাহাড়ে ধস নামার ভয়। তাই তো এই মরশুমে পাহাড় ভ্রমণ অনেকেই এড়িয়ে চলেন। কিন্তু প্রকৃতিপ্রেমী ও ভ্রমণপিপাসুদের এই মরশুমে ঘরবন্দী করে রাখা সম্ভব নয়। তাই পাহাড়-জঙ্গল এড়িয়ে চলুন সমুদ্রে। বর্ষায় সমুদ্রও রূপ ধারণ করে। ঢেউগুলো সুবিশাল। আর যদি কোনও কোটাল থাকে, তাহলে সেই রূপ দেখার মতো। যদিও সেই সময় সমুদ্রের পাড়ে না থাকাই ভাল। কিন্তু বর্ষায় কোন সমুদ্রতটে যাবেন? সমুদ্র বললেই মাথায় দিঘা, পুরী, মন্দারমণি ঘুরপাক খেলেও এবার উইকএন্ডে ঘুরে আসুনউড়িষ্যার অভূতপূর্ব সমুদ্র সৈকত 'বলিঘাই'।
চলুন আপনাদের আরো একটি সুন্দর বিচ এর সন্ধান দিই। এই সৈকতে অবশ্য ভিড় কম, তাই সহজেই নির্জন সমুদ্রের ধারে একান্তে সময় কাটাতে পারেন । আজ আপনাদের এই দুর্দান্ত জায়গাটির সম্পর্কে জানাবো যা এর আগে কোনোদিন হয়তো আপনারা দেখেননি। আর সেই জায়গাটাই হল ওড়িশার বালিঘাই সী বীচ। সমুদ্রতটে গিয়ে যদি ঝিনুক খোঁজার ইচ্ছে থাকে, তবে বালিঘাই সাগরতটের চেয়ে ভাল জায়গা খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ইতিউতি ছড়িয়ে থাকা অজস্র ঝিনুক কুড়িয়ে সুন্দর সময় কাটবে এখানে। শুধু তাই নয় এই সৈকতের নির্জনতা আপনাকে মুগ্ধ করবে। উড়িষ্যা সরকারের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার যথেষ্ট ব্যবস্থা করা হয়েছে।
যাওয়া - পুরী থেকে মাত্র ১৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বালিঘাই। তাই খুব সহজেই হাওড়া থেকে পুরী স্পেশাল যে কোনো ট্রেনে উঠে নেমে পরুন পুরী স্টেশনে। বাঙালির চিরচেনা তীর্থস্থান বা ঘোরার জায়গা যাই বলুন পুরীর মতন ভিড় ও হই-হট্টগোল কিছুই নেই সেখানে। সেখান থেকে ছোট গাড়ি ভাড়া করে চলে যাবেন বালিঘাই। সেখানে গিয়ে দেখতে পাবেন বালির লম্বা এক রাস্তা সেটাই সরাসরি চলে গেছে বিচের দিকে। জনবসতি সেখানে এখনো তেমন ভাবে গড়ে ওঠেনি যার ফলে এখনও কোনো হোটেল ওখানে গড়ে ওঠেনি। তবে ভয় পাওয়া বা চিন্তার কোন কারণ নেই। যেহেতু পুরী থেকে মাত্র ১৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই বিচ তাই আপনারা পুরীর হোটেলে থেকেই খুব সহজে যাতায়াত করতে পারেন। পুরী থেকে সকালে বেরিয়ে সমুদ্র স্নান সেরে রাস্তায় লাঞ্চ সেরে স্বচ্ছন্দে দুপুরের মধ্যে ফিরে আসতে পারেন হোটেলে।