দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ এই প্রবল গরমে প্রচুর বিবাহ সম্পন্ন হচ্ছে। নবদম্পতির মধুচন্দ্রিমা মানে পরস্পরকে জানা ও চেনা। তাই কোনো নির্জন দ্বীপভুমি হয়ে উঠতে পারে মধুচন্দ্রিমায় আদর্শ জায়গা। একটু বাজেট বেশি হলেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাড়ি দেওয়া যেতে পারে। নীল জলের সাথেই দুর্দান্ত পাহাড়ের গায়ে কাটবে আপনার মধুচন্দ্রিমা। কিন্তু এমন জায়গা কি দেশের মধ্যে আদৌ আছে? উত্তর কিন্তু হবে অবশ্যই আছে। আন্দামানের হ্যাভলক দ্বীপের রাধানগর সমুদ্র সৈকত। প্রথমেই আপনাদের জানিয়ে রাখি ব্রিটিশ জেনারেল স্যার হেনরি হ্যাভলক-এর নামানুসারেই এই দ্বীপের নাম নাম হয়েছে ‘হ্যাভলক দ্বীপ’। এই দ্বীপের সবথেকে বড়ো বিচ ‘রাধানগর বিচ’। তাই বছরের বেশিরভাগ সময় এখানে ভিড় লেগে থাকে। এখানকার বিখ্যাত স্কুবা ডাইভিং করতে মিস করবেন না।
প্রাকৃতিক দৃশ্য ও মনোরম পরিবেশ মিলে চারপাশে আটটি ছোট দ্বীপের সমন্বয়ে তৈরী হয়েছে হ্যাভলক দ্বীপ। আর তার মধ্যেই আছে এই রাধানগর সমুদ্র সৈকত। বঙ্গোপসাগরের নীল জলের বুকে হারিয়ে যাওয়ার আদর্শ ঠিকানা এই হ্যাভলক দ্বীপ। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার জন্য রাধানগর বিচ বিখ্যাত। সন্ধ্যা নামলেই সেখানের নাইট ক্লাব গুলোতে পার্টি শুরু হয়ে যায়। সেই বিচে প্রচুর হাতি আছে যা লোকাল মানুষেরাই নিয়ে ঘুরে বেড়ান। দেখতে যদিও খুবই ভালো লাগবে তবে একটু সতর্ক থাকা ভালো।
যাওয়া - কলকাতা থেকে আন্দামান যেতে হলে আপনাকে বিমানে অথবা জাহাজে যেতে হবে। বিমানে কলকাতা থেকে দুই ঘন্টার মধ্যে পৌঁছে যাবেন আন্দামান। পোর্টব্লেয়ার বিমানবন্দর থেকে ফিনিক্স বে জেটিঘাট যাবেন। সেখান থেকে ছাড়ে হ্যাভলক আইল্যান্ডে যাওয়ার সরকারি লঞ্চ। আমাদের কলকাতার মতো নয় বরং সেখানকার লঞ্চ গুলো কিন্তু আধুনিক ও সম্পূর্ণ প্রযুক্তিতে ভরা। আবার তামিলনাড়ু থেকে আন্দামান যাওয়ার জাহাজ ছাড়ে। দুই দিনের মতো সময় লাগে। তাই আপনি জাহাজের মাধ্যমেও যেতে পারেন।
থাকা - আন্দামানে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন মানের হোটেল রয়েছে। তবে হ্যাঁ এখানে দাম ভিন্ন হবে। আপনি নিজের বাজেটের মধ্যে হোটেল আগে থেকে বুক করে নেবেন। মধুচন্দ্রিমার জন্য হানিমুন সুইট বুক করতে পারেন।