দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ কর্নাটকের উত্তর কন্নড় জেলায় গোকর্ণ একটি ছোট্ট শহর। সৈকত তীরবর্তী মন্দিরনগরী হিসেবে খ্যাত গোকর্ণকে ভিত্তি করে বেড়িয়ে নেওয়া যায় আরবসাগরের তীরবর্তী অনেকগুলো পর্যটন কেন্দ্র, নামকরা সব সৈকত। বেড়ানোর সেরা সময় অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি। কাজের ফাঁকে হঠাৎ করেই ছোট একটা ছুটি কাটানো আবশ্যক। একাকিত্ব কাটাতে অনেকে ওষুধ হিসাবে নেন সমুদ্রের ঢেউ কিংবা সবুজে ঘেরা কোনো পাহাড়ের চূড়া। আপনি যদি এই ধরজের ভ্রমণ পিপাসু হন তাহলে অবশ্যই গন্তব্য হতে পারে কর্নাটকের গোকর্ণ দ্বীপের বাদা সমুদ্র সৈকত। এই সৈকতটি ভিড়ের থেকে নির্জন বেশি। যারা শান্তি ও নিরিবিলি উপভোগ করার জন্য সৈকতে কিছু সময় পেতে চান তাদের জন্য নির্জনতা অফার করে।
দুই পাশে পাহাড় সহ বাদা বিচ গোকর্ণের সমস্ত দর্শনীয় স্থান থেকে একটি সতেজ বিরতি দেবে আপনাক।
এটির চারদিকে পাথর দ্বারা ঘেরা এবং মাঝে আছে সেই সৈকত। তবে পাথরের সাথেই আছে প্রচুর সবুজ গাছ গাছালি।
এখানকার লোকেরা শীতল নীল শান্ত জলে মনের মতো করে স্নান করতে পারে।
এই সৈকতের থেকে দুর্দান্ত সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয় দেখা যায়। যা চোখের সাথেই মনের পরম তৃপ্তি।
এই গোকর্ণ দ্বীপে বাদা সৈকতের সাথেই আরও যে কয়েকটি সৈকত রয়েছে সেগুলি অবশ্যই ঘুরে দেখবেন।
যাওয়া - হাওড়া থেকে ব্যাঙ্গালোর পৌঁছাবেন ট্রেন অথবা ফ্লাইটের মাধ্যমে। ব্যাঙ্গালোর থেকে ৫০০ কিলোমিটার মতো দূরত্ব আছে এই গোকর্ণ -র। অনেকটা পথ এড়ানোর জন্য আপনি গোয়া হয়ে যেতে পারেন। গোয়ার ডাবোলিন বিমানবন্দর থেকে মাত্র ১৫০ কিলোমিটার দূরে এই গোকর্ণ দ্বীপ। গোকর্ণর প্রধান বাস স্ট্যান্ড থেকে বাদা সৈকতের দূরত্ব ১৬ কিলোমিটার মত। কম খরচে যাওয়ার জন্য বাস।
থাকা - প্রচুর হোটেল আছে সেখানে। নিজের পছন্দের মতো জায়গা দেখে ঢুকে পরুন ঘরে।