দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ সামনেই গরমের ছুটি। পরিবার নিয়ে ঠান্ডায় সময় কাটাতে চাইলে প্রথমেই মনে আসে দার্জিলিং ও কালিংপংএর নাম। কিন্তু প্রবল ভিড়। জায়গা পাওয়া মুশকিল। কিন্তু পানবু ওদের থেকে কোনো অংশে কম নয়।
এমনই একটি অফবিট জায়গা পানবু।কাঞ্জনজঙ্ঘার ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ পাওয়া যাবে এখান থেকে। একেবারে অজানা নাম। উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকার ছোট্ট একটা অনামী গ্রাম এই পানবু। খুব বেশি দূরে নয় কিন্তু। কালিম্পং থেকে ৪০ মিনিট যেতে সময় লাগবেই। অথচ সৌন্দর্যে কালিম্পংকেও টেক্কা দিতে পারে এই গ্রাম। একেবারেই নতুন জায়গা। সেকারণে পর্যটন মানচিত্রে এখন এর জায়গা হয়নি। গ্রামবাসীরাই ধীরে ধীরে সাজিয়ে তুলছে গ্রামটিকে। ছোট ছোট হোমস্টে রয়েছে গ্রামে। সেকারণে পর্যটকদের তেমন ভিড় নেই। পানবুর প্রধান বৈশিষ্ট্য এর রূপের মাধুর্য।
এখনো এই জায়গাকে ভার্জিন প্রকৃতি বলা হয়। এই পানবু গ্রাম থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার সূর্যোদয় যেমন দেখা যায় তেমনই সূর্যাস্তও দেখা যায়। যাকে বলে ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ পাওয়া যায় এখান থেকে। আকাশ জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। এমনকি কালিম্পং শহরের উপরে কাঞ্চনজঙ্ঘা কেমন লাগে দেখতে সেটা দেখা যায় এই পানবু থেকে। আর এই ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ পর্যটকদের দিতে একাধিক ভিউ পয়েন্ট রয়েছে। আবার ডুয়ার্সও দেখা যায় এই পানবু থেকে। পানবু একদিকে যেমন কাঞ্জনজঙ্ঘার ভিউ দেয় ঠিক তেমনই ডুয়ার্সের ভিউও দেয়। ডুয়ার্সের জঙ্গল, শিলিগুড়ি শহর, করোনেশন ব্রিজ। তিস্তা নদীর আকাবাঁকা পথ সব দেখা যায় এই পানবু থেকে। পাহাড়ের উপর থেকে কীভাবে তিস্তা নদী সমতলে পড়েই এঁকেবেঁকে গিয়েছে সেটা স্পষ্ট হয়ে যায়। আকাশ জুড়ে পাহাড়। তারসঙ্গে সবুজ জঙ্গল। পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে হাঁটতেই মন ভাল হয়ে যাবে। দার্শনিকেরা বলেন,নিজেকে ও নিজের পরিবারকে চিনতে হলে নির্জনে কয়েকদিন কাটিয়ে আসুন। তাই আমাদের প্রস্তাব এবার আপনার ডেস্টিনেশন হোক পানবু গ্রাম।
যাওয়া - শিলিগুড়ি,নিউ জলপাইগুড়ি বা কালিংপঙ এ পৌঁছালেই পাবেন প্রচুর ভাড়া গাড়ি। অল্প সময়েই পৌঁছাবেন পানবু।
থাকা - খুব পরিচ্ছন্ন কয়েকটি হোমস্টে আপনাকে স্বাগত জানাবে। খরচ খুব বেশি নয়।