দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ রহস্যে ঘেরা জগন্নাথ মন্দিরে, এবার সন্ধান মিললো এক রহস্যময় সুড়ঙ্গের। এই ঘটনায় রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। সেই সঙ্গে নতুন সুড়ঙ্গের সত্য উদঘাটনেরও দাবি করেছেন তারা।
গরমের সময় দর্শনার্থীদের পুরীর জগন্নাথ দর্শনে যাতে অসুবিধায় না পড়তে হয়, তারজন্য কয়েকদিন আগে নতুন উদ্যোগে কথা জানিয়েছিল মন্দির কমিটি। সুড়ঙ্গের মতো একাটি বাতানুকূল করিডর তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এ সিদ্ধান্ত ঘিরে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
তারই মধ্যে মন্দিরের ভিতর নতুন সুড়ঙ্গের সন্ধান মেলায়, স্থানীয় মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে কৌতূহল। জানা গেছে, রহস্যময় সুড়ঙ্গটি শ্রীক্ষেত্র পঞ্চতীর্থ থেকে প্রাচীন ইন্দ্রদ্যুম্ন মন্দির পর্যন্ত বিস্তৃত।এর বিস্তার প্রায় ২০ থেকে ৩০ কিলোমিটার।
সুড়ঙ্গের খবর প্রকাশ্যে আসার পর, প্রকৃত সত্য নিয়ে শুরু হয়েছে চুলচেড়া বিশ্লেষণ। কেউ কেউ এর পিছনে প্রাচীন মিথের তথ্য তুলে ধরেছেন। পুরীর বাসিন্দাদের একাংশের মতে, বহু বছর আগে মন্দির চত্বরে একটি পুষ্করিণী ছিল। আর তা শুকিয়ে গিয়ে সুড়ঙ্গের আকার ধারণ করেছে।বুদ্ধিজীবীদের একাংশ জানিয়েছেন, জগন্নাথ ধামের বিভিন্ন পুকুরের জল অপসারণের জন্য একটি ড্রেনের ব্যবস্থা ছিল। আর এই ড্রেনটি মুসা নদীর সঙ্গে যুক্ত ছিল। হরিশঙ্কর মিশ্র নামে এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, সুড়ঙ্গটি ওই ড্রেনেরই অংশ।
প্রসঙ্গত, এর আগেও পুরীর মন্দিরের সঙ্গে গঙ্গা মাতার মঠে যাওয়ার একটি সুড়ঙ্গ পথ ছিল বলে জানা গিয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে প্রকৃত সত্য উদঘাটনের জন্য সরকারে কাছে স্থানীয়দের পক্ষ থেকে করা হয়েছে আবেদন। যদিও এ ব্যাপারে সরকারের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
উল্লেখ্য, বর্তমানে যে করিডরের মাধ্যমে ভক্তরা মন্দিরে প্রবেশ করেন, তাতে শেড না থাকায় গরমের সময় সমস্যায় পড়তে হত। সেই সমস্যা সমাধানে বাতানুকূল করিডর তৈরির নেওয়া হয়েছে সিদ্ধান্ত। মরিচকোট স্কোয়্যার থেকে মন্দিরে সিংহদ্বার পর্যন্ত এসি করিডোর তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রায় ৮৫ মিটার লম্বা হবে করিডোরটি।