দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ সকালে উঠেই মোবাইল ফোনে চোখ রাখেন অনেকে। তবে এই বদ অভ্যাসের ফলেই অনেকের জীবনে আসতে পারে এক বিপত্তি।
স্ট্রেসের ফাঁদ
সকাল থেকেই মোবাইল ঘাঁটতে শুরু করলে তার প্রভাব পড়তে পারে ব্রেনের উপর। এমনকী এই কারণে ব্রেনে স্ট্রেস হরমোন বেশি পরিমাণে তৈরি হতে পারে। আর সেই সুবাদে সকালে উঠেই মাথায় দানা বাঁধতে পারে দুশ্চিন্তা। তারপর সেই স্ট্রেসকে সঙ্গী করেই সারাদিন কাটাতে হবে। তাই দুশ্চিন্তার ফাঁদ এড়িয়ে চলার ইচ্ছে থাকলে সকালে উঠেই মোবাইলে চোখ রাখবেন না। এই নিয়মটা মেনে চললেই কিন্তু মনের হাল ফেরাতে পারবেন।
বিগড়ে যেতে পারে স্লিপ সাইকেল
সকালে উঠে প্রথমেই মোবাইলে নোটিফিকেশন চেক করেন নাকি? উত্তর হ্যাঁ হলে চিত্তির! কারণ আপনার এমন ভুলেই যে স্লিপ সাইকেল লণ্ডভণ্ড হয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের কথায়, সকালে উঠে মোবাইল দেখলে শরীরের প্রচুর পরিমাণে মেলাটোনিন বেরয়। আর তারপর গোটা দিন মোবাইল ব্যবহার করলে এই হরমোন আরও বেশি পরিমাণে নির্গত হয়। আর শরীরে এই হরমোনের মাত্রা বাড়লে ঘুম আসতে চায় না। তাই শান্তির ঘুম ঘুমাতে চাইলে আজ থেকে সকালে উঠে মোবাইল ব্যবহার কমান।
কমতে পারে ব্রেনের কার্যকারিতা
সকালে উঠে মোবাইল নিয়ে বসে পড়লে কিন্তু ব্রেনের কগনিটিভ ফাংশন ধীর হয়ে যেতে পারে। আর সেই কারণেই কাজে আসতে পারে অনীহা। এমনকী কাজে ভুল হওয়ার আশঙ্কাও বাড়ে। তাই এই সমস্যার ফাঁদ এড়িয়ে চলার ইচ্ছে থাকলে যেন তেন প্রকারেণ সকালে উঠে মোবাইল ঘাঁটার অভ্যাস বন্ধ করতে হবে। এই কাজটা করলেই উপকার পাবেন হাতেনাতে।
বিপদের মুখে পড়তে পারে চোখ
মোবাইল থেকে বেরিয়ে আসে নীল রঙের আলো। আর এই আলো কিন্তু চোখের উপর চাপ বাড়ানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। বিশেষত, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরই যদি মোবাইল ঘাঁটতে শুরু করে দেন, তাহলে তো বিপদের শেষ থাকবে না। এমনকী এই ভুলের সুবাদে ড্রাই আইজ থেকে শুরু করে মাথা ব্যথা, চোখের পাওয়ার বৃদ্ধি সহ একাধিক সমস্যার ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই কাল থেকেই সকালে মোবাইল দেখা বন্ধ করুন।
নেশার ফাঁদ
২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে সারা পৃথিবীর তাবড় বিশেষজ্ঞরা মোবাইল ফোন অ্যাডিকশন নিয়ে সরব হচ্ছেন। তাঁদের কথায়, দিনে ১ থেকে ২ ঘণ্টার বেশি মোবাইল ঘাঁটা উচিত নয়। এর থেকে বেশি সময় মোবাইল ব্যবহার করলে শরীর ও মনের একাধিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই সুস্থ-সবল জীবনযাপন করতে চাইলে কাল সকাল থেকে উঠে আর মোবাইল ঘাঁটবেন না। এই ভুলটা শুধরে নিলেই এড়াতে পারবেন মোবাইল অ্যাডিকশনের ফাঁদ।