খুশকি একটি সাধারন সমস্যা কিন্তু খুব যন্ত্রণাদায়ক। শীত, গ্রীষ্ম কী বর্ষা কম-বেশি সব ঋতুতেই ভিন্ন ভিন্ন কারণে খুশকি দেখা যায় চুলে। যেমন মাথার চুল পড়া এবং ত্বকে চুলকানির দেখা যাই।খুশকির জন্য বাজারে অনেক ধরনের শ্যাম্পু পাওয়া যায় কিন্তু সেগুলির রাসায়নিক চুলের ক্ষতি করতে পারে। তবে ঘরোয়া আর ভেষজ উপাদানে খুশকি সারানো সম্ভব। এই ঘরোয়া উপাদান দ্বারা খুশকির নিরাময় করলে চুলের ক্ষতি ও হবে না সাথে আপনার চুল হয়ে উঠবে ঝলমলে। এই সব ঘরোয়া উপাদান জানতে দেখুন দুরন্ত বার্তার পেজটি।
* নিম পাতা
নিমের পাতা আর নিমের বাকল আজকাল বাজারে হামেশাই কিনতে পাওয়া যায়। নিম পাতায় আছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান যা একসাথে খুশকির বিরুদ্ধে কাজ করে। নিমপাতা ও জল একসাথে ফুটিয়ে নিন,নিম পাতা ঐ ফুটন্ত জলে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন।ঐ জলে দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন ।নিয়মিত সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার ঐ জল ব্যবহার করে চুল ধুলে নিশ্চিত সুফল পাবেন।এটি আপনার মাথায় খুশকিজনিত চুলকানি ও অস্বস্তি দূর করবে সাথে সাথে খুশকিও দূর হবে।
*রসুন
রসুনও চুলের সমস্যার সমাধান করে। এতে রয়েছে অ্যান্টিফাংগাল উপাদান। খুশকি থেকে মুক্তি পেতে এটি ব্যবহার করা হয়। এর জন্য দুই কোয়া রসুন বেটে জলে মিশিয়ে দিন। মাথার চুলে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর চুল ধুয়ে ফেলুন ।এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে চুলে রসুনের গন্ধ বেরোবে না।
*মেথি ও টক দই
নিমের পাতার মতো মেথিতেও আছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল আর অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান যা খুশকি তাড়ানোর পাশাপাশি মাথা ঠাণ্ডা রাখে । আর টক দই চুলের জন্য সবসময়ের ভালো, এটি চুলের শুষ্কতা দূর করে।৩ ঘণ্টা মেথি জলে ভিজিয়ে রাখুন, এবার মেথির মধ্যে টকদই মেশান সাথে লেবুর রসও।চুলে তেল দিয়ে তাতে এই পেস্ট লাগিয়ে ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। এরপর চুল শ্যাম্পু করুন।সপ্তাহে কম করে ২ বার এই পেস্ট ব্যবহার করুন ভালো ফল পাওয়ার জন্য।