kolkata

4 months ago

Jadavpur University :র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মৃত ছাত্রের নামে অ্যাওয়ার্ড যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে,কারা পাবে? গৃহীত হল প্রস্তাব

Jadavpur University
Jadavpur University

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ র‍্যাগিং ঠেকাতে, র‍্যাগারদের রুখতে র‍্যাগিংয়ে নিহত ছাত্রের নামে অ্যাওয়ার্ড দেওয়ার প্রস্তাব গৃহীত হলো যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। ভারপ্রাপ্ত ভিসি ভাস্কর গুপ্ত জানিয়েছেন, ইসি’তে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ইসি’র সব সদস্য সহমত পোষণ করেছেন। র‍্যাগিং ঠেকাতে যে পড়ুয়া উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবেন, তাঁকে র‍্যাগিংয়ে নিহত ছাত্রের নামাঙ্কিত পুরস্কারে ভূষিত করা হবে প্রতি বছর।যদিও মৃত ছাত্রের পরিবার এতে সন্তুষ্ট নন। তাদের বক্তব্য, পুরস্কার চালুর বদলে অন্য কিছু করা যেতে পারত।

যদিও ওই নিহত ছাত্রের পরিবার মনে করছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এর মাধ্যমে তাঁদের হাতে ‘লজেন্স’ তুলে দিচ্ছেন। অ্যাওয়ার্ড চালুর বদলে সন্তানের নামে স্মৃতিসৌধ তৈরি এবং তাঁর মৃত্যুদিনটিকে অ্যান্টি র‍্যাগিং দিবস হিসেবে পালনের দাবি তুলেছে ওই ছাত্রের পরিবার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির বৈঠক ছিল। গত অগস্টে যাদবপুরের মেন হস্টেলে র‍্যাগিং ও যৌন হেনস্থায় ছাত্র-মৃত্যুর ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত পড়ুয়াদের শাস্তি নিশ্চিত করেছেন কর্তৃপক্ষ। ওই বৈঠকেই মৃত ছাত্রের স্মৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কী করতে পারে, তা নিয়ে একাধিক প্রস্তাব আসে। কেউ প্রস্তাব দেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও ভবনের নাম মৃত ছাত্রের নামে রাখা হোক, কেউ প্রস্তাব দিয়েছেন, হস্টেল বা ক্যাম্পাসে স্মৃতিসৌধ বানানো যেতে পারে, কারও কারও প্রস্তাব ছিল, মেন হস্টেলের নাম বদলে ওই ছাত্রের নামে রাখা হোক।

কিন্তু এই প্রস্তাবগুলি নিয়ে কর্মসমিতির অনেকেই মনে করেছেন, এমন কিছু করা ঠিক হবে না যা বার বার যাদবপুরের ওই অন্ধকারময় স্মৃতি উসকে দেয়। ভিসি প্রস্তাব দেন, র‍্যাগিং ঠেকাতে যে ছাত্র বা ছাত্রী উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবেন, তাঁকে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হোক মৃত ছাত্রের স্মৃতিতে। সেই প্রস্তাবেই সিলমোহর পড়ে।

ক্যাম্পাসে র‍্যাগিংয়ে নজরদারিতে ইসি’তে সিদ্ধান্ত হয়েছে, বর্ষ-ভিত্তিক আলাদা আলাদা হস্টেল থাকবে। পাশাপাশি ঠিক হয়েছে, হস্টেল সুপার-ওয়ার্ডেনরা ছাড়াও শিক্ষকদের দায়িত্ব দেওয়া হবে নজরদারিতে। তাঁদের কো-সুপার বা ওয়ার্ডেনের দায়িত্ব দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে অ্যাওয়ার্ডের বিষয়টি মৃত ওই ছাত্রের পরিবারকে জানানো হয়েছে। যদিও তাঁরা সন্তুষ্ট হতে পারেননি।

মৃত ছাত্রের বাবা বলেন, ‘এটা তো আমাদের একটা লজেন্স দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যদি সত্যিই আমার ছেলের স্মৃতিতে ওঁদের কিছু করতে হতো, তা হলে ওর মৃত্যুদিনটিকে অ্যান্টি র‍্যাগিং দিবস হিসেবে পালন করা যেত। ক্যাম্পাসে ওর কোনও আবক্ষ মূর্তি বা স্মৃতিসৌধ তৈরি করতে পারত। কিন্তু ওঁরা সেটা করবেন না বলেই অ্যাওয়ার্ড দেওয়ার নামে লজেন্স ধরাচ্ছেন।’


You might also like!