দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: ভিনরাজ্যে বাঙালি হেনস্তার অভিযোগে ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধরনা মঞ্চ করেছিল তৃণমূল। গত ১ সেপ্টেম্বর ওই সভামঞ্চ খুলে দেয় সেনাবাহিনী। সে খবর পাওয়ামাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তিনি দাবি করেন, বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে কাজ করছে সেনাবাহিনী। তাঁর এই মন্তব্যের প্রতিবাদে সরব হন প্রাক্তন সেনাকর্মীরা। গান্ধীমূর্তির পাদদেশ ধরনায় বসার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। তবে বেশ কিছু শর্ত আরোপ করে আদালত। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ নির্দেশ দেন, ২০০-২৫০ জন ধরনায় অংশ নিতে পারবেন। বিজেপির কোনও নেতামন্ত্রী ওই ধরনায় অংশ নিতে পারবেন না।
তবে শুক্রবার হাই কোর্টে রাজ্যের তরফে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়। সেখানে শুভেন্দু অধিকারীর সহ অনেক নেতা গিয়েছিলেন বলে দাবি করা হয়। তবে পালটা আদালতে জানানো হয়, “শুভেন্দু গিয়েছিলেন ধরনা মঞ্চের কাছে। তবে মঞ্চে ওঠেননি। তিনি যখন জানতে পারেন যে নেতারা থাকতে পারবেন না। তখনই চলে যান।” বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ ক্ষুব্ধ হন। তিনি বলেন, “আপনারা বলেছিলেন সবাই অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী। তাঁদের কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগ থাকতেই পারে। আপনাদের আর্মি ইস্যু ছিল অ্যাজেন্ডা। কোনও রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা ছিল না। তবে আদালতের সঙ্গে জাগলারি করলে সমস্যা আছে। আপনারা যখন আদালতে আসছেন। অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীদের উপর আমার সহানুভূতি আছে। তাহলে কেন নির্দেশ মানছেন না?” বিচারপতির হুঁশিয়ারি, “আদালত এই মুহূর্তে কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ভবিষ্যতে এমন হলে রং না দেখেই আদালত কঠোর পদক্ষেপ নেবে। সেটা তারা শাসক হোক বা বিরোধী।” স্বাভাবিকভাবেই আদালতের নির্দেশে চাপে পড়েছে গেরুয়া শিবির।