kolkata

1 month ago

Mahadev Temple মন্দিরে মহাদেবকে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়! কোথায় এমন ঘটনা ঘটে জানেন?

Mota Mahadev
Mota Mahadev

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ- বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। আর সেই অনুযায়ী এখন চলছে শ্রাবণ মাস। এই মাসে মহাদেবের মাথায় জল ঢালতে লাখ লাখ ভক্তরা ছুটে আসেন মন্দিরে। তবে এক শিবের মন্দির রয়েছে, যেখানে দেবাদিদেবকে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। যদিও এর নেপথ্যে রয়েছে এক অদ্ভুত কারণ। 

কলকাতার প্রাচীন নিমতলা শ্মশান থেকে কিছুদূর এগিয়ে গেলেই দেখতে পাওয়া যাবে আনুমানিক ৩৫০ বছরের পুরানো দুৰ্গেশ্বর শিব মন্দির। এই প্রাচীন মন্দিরের শিবলিঙ্গটি খুব বড় ও মোটা বলে এই মহাদেবকে ‘মোটা মহাদেব’- নামেও পরিচিত। শিবরাত্রিতে ও গোটা শ্রাবণ মাস জুড়ে এই মন্দিরে লক্ষাধিক ভক্তের জমায়েত হয়। ভক্তদের বিশ্বাস যে, ভক্তের ডাকে সাড়া দিয়ে সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ করেন মোটা মহাদেব। 

এই মোটা মহাদেব নিয়ে লোকমুখে প্রচলিত রয়েছে একাধিক গল্প। লোকশ্রুতি অনুযায়ী, একদিন নাকি মন্দিরের সেবায়েত গর্ভগৃহের দরজা খুলে শিবলিঙ্গ দেখতে পাননি । ওই কথা জানাজানি হতেই এলাকায় হুলুস্থুলু পড়ে যায়। পরে গঙ্গা থেকে উদ্ধার করা হয় মহাদেবকে। সেই থেকেই নাকি মহেশ্বরকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে, যাতে তিনি স্থান ছেড়ে পালিয়ে না যেতে পারেন। তবে এসব গল্পের কোনও সত্যতা নেই বলেই দাবি করেছেন বর্তমান পুরোহিতরা। মন্দিরের সেবায়েতের তরফে পাওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, প্রত্যেকবারই এই মন্দিরের গায়ে হাত দিতে গেলেই নাকি কোনও না কোনও সমস্যা তৈরি হয়ে যায়। তাই মন্দিরটি সংস্কারের উদ্দেশ্যে গায়ে হাতই দেওয়া যায়নি।

জানা যায়, ১৭১৬ সালে হাটখোলার দত্ত পরিবারের মদনমোহন দত্তের পুত্র রসিকলাল দত্ত এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন। সম্প্রতি এই দুর্গেশ্বর মোটা মহাদেবের মন্দিরটি কলকাতা হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে । ভাস্কর্যের নির্মাতা শিল্পীর নাম গদাধর দাস। এছাড়াও জানা যায় যে, বর্তমানে দুৰ্গেশ্বর মোটা মহাদেব মন্দিরের দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন দীপক পুলোভী এবং গৌড়চন্দ্র মুখোপাধ্যায়। 

মন্দির কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন ভোর ৫টায় ভক্তদের জন্য মন্দিরের দরজা খোলা হয়। সেই সঙ্গে মঙ্গলারতি শুরু হয়। আরতির শেষে গর্ভগৃহে প্রবেশ করে শিবলিঙ্গে জল ঢালেন ভক্তরা। লোহার সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠে প্রকাণ্ড এই শিবলিঙ্গের মাথায় জল ঢালতে হয়। ১২ টায় শুরু হয় ভোগ আরতি। ভোগের পর কিছুক্ষণের জন্য মন্দির বন্ধ থাকে । ফের বিকেল ৪ টের সময়ে খুলে দেওয়া হয় মন্দিরের দরজা। তবে এই সময়ের পর থেকে আর কাউকেই গর্ভগৃহে ঢুকতে দেওয়া হয় না। বাইরে থেকে পুজো দেওয়ার নিয়ম। রাত্রি সাড়ে আটটায় সন্ধ্যা আরতি হয়। এরপর প্রার্থনার শেষে শয়নে যান মহাদেব। 

You might also like!