Breaking News
 
Gaza: ত্রাণের লাইনে মৃত্যুর মিছিল! গাজায় ৭৯৮ প্যালেস্টিনীয়কে গুলি করে হত্যা, জানাল রাষ্ট্রসংঘ AC local: বনগাঁ শাখায় নতুন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত লোকাল, মালদহ রুটে ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস! সম্ভাব্য সূচনা ১৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে Kapil Sharma's cafe: কানাডায় কপিল শর্মার ক্যাফেতে খলিস্তানি হামলা, দায় স্বীকার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ হরজিত লাড্ডির! Niti Ayog: নীতি আয়োগের রিপোর্টে মানচিত্র বিভ্রাট! মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির পর সরল নীতি আয়োগের ত্রুটিযুক্ত মানচিত্র Shashi Tharoor: ‘গণতন্ত্রের অন্ধকার অধ্যায়’ – ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্য সমালোচনায় শশী থারুর! Kolkata Security Breach: ভুয়ো আধার হাতে কলকাতায় বছরভর বাস, ফোর্ট উইলিয়ামে সন্দেহজনক ঘোরাফেরা, পাকড়াও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী!

 

Festival and celebrations

9 months ago

Durga Puja 2024: মণ্ডা-মিঠাই নয়, পান্তা ভাত আর পোড়া রুটি খান চতুর্ভুজা দেবী দুর্গা! বাগদি বাড়ির পুজোতে কেন এই নিয়ম?

Bagdi house's Durga puja
Bagdi house's Durga puja

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ- কৈলাস থেকে ছেলেমেয়েদের নিয়ে বাপের বাড়ি তথা মর্তলোকে ঘুরতে আসেন দেবী দুর্গা। তাই মায়ের জন্য থাকে এলাহি আয়োজন। মণ্ডা-মিঠাই থেকে নানা রকমের মাছ থাকে মায়ের ভোগে। কিন্তু বাগদি বাড়ির পুজোতে ঘটে তা অন্য চিত্র। এখানে মা দশভুজা নয়, চতুর্ভুজা দেবী দুর্গার ভোগে থাকে পান্তা ভাত আর পোড়া রুটি। প্রায় ২০০ বছর ধরে চলে আসছে এই নিয়ম।

আজ থেকে প্রায় ২০০ বছর পূর্বে বাঁকুড়া জেলার জয়পুর থানার রাউৎখন্ড ছিল তৎকালীন বর্ধমান রাজা মাহাতব চাঁদের অধীনে। রাজামশাই বাগদী পরিবারের পদবী দিয়েছিলেন আটপৌরি। সেই থেকে ওই গ্রামের নাম হয়েছিল আটপৌরি পাড়া। বর্তমানে এটি বাগদীপাড়া নামে পরিচিত।

একদা এক আশ্বিনে ওই বাগদী পরিবারের কর্তা গ্রামের অদূরে এক জলাশয়ে মাছ ধরতে যান। কিন্তু কিছুতেই তাঁর মাছ ধরার জাল একা সামলাতে পারছিলেন না। ঠিক তখনই এক সুন্দর অপরূপা রমণী আসেন, এবং সাহায্যের প্রস্তাব দেন। বাগদী পরিবারের ওই কর্তা আগন্তুক রমণীকে জিজ্ঞাসা করেন ‘তুমি কে মা’? উত্তরে ঐ রমণী জানিয়েছিলেন সে বাগদী পরিবারেরই কন্যা।

মাছ ধরা শেষ হলে ওই বাগদী পরিবারের কর্তার সঙ্গে বাড়িও আসতে চান ওই রমণী। বাগদী পরিবারের ওই কর্তা প্রথমে রাজি না হলেও পরে রাজী হয়ে যান তাঁকে বাড়ি আনতে ।এরপর দুজনে গল্প করতে করতে গ্রামের দিকে রওনা হন। গ্রামের কাছাকাছি পৌঁছে আর ওই রমনীর গলা শুনতে পাননি বাগদী পরিবারের কর্তা। পিছনে ফিরে দেখেন ওই রমণী আর নেই।

এরপর বাড়ি ফিরে আসেন বাগদী পরিবারের কর্তা। ওই রাতেই দেবী স্বপ্নে চতুর্ভূজা বৈষ্ণবী রূপে দেখা দেন বাগদি পরিবারের কর্তাকে। মা দুর্গা তাঁকে বাড়িতে প্রতিষ্ঠা করে পুজো শুরু করার নির্দেশ দেন। বাগদি পরিবারের কর্তা মাকে অসহায়তার কথা জানালে দেবী নির্দেশ দেন প্রতিদিন বাড়িতে যে আহার হয় তা দিয়েই ভোগ দিতে। এই শুনে খুশি হয়ে যান বাগদি পরিবারের এই কর্তা। সেই থেকে চলে আসছে মায়ের পুজো। পান্তা ভাত আর পোড়া রুটি দেওয়া হয় ভোগে।

You might also like!