Breaking News
 
Saltlake Chaos: জীবন্ত পুড়ে মৃত্যু ডেলিভারি বয়ের, সল্টলেকে পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে গ্রেপ্তার ৫! Gandhi vs Savarkar: স্বাধীনতা দিবসের পোস্টারে সাভারকরকে নিয়ে বিতর্ক, মোদি সরকারকে আক্রমণ বিরোধীদের! Roopa Gaguly: ‘আজ মা চলে গেলেন বাবার সঙ্গে দেখা করতে…’—মাকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ অভিনেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়! JU Bratya Basu Attack: যাদবপুরে শিক্ষামন্ত্রীর গাড়িতে হামলার ছক স্পেন থেকে-দিল্লি বিমানবন্দরে গ্রেফতার যাদবপুরের প্রাক্তনী হিন্দোল মজুমদার! "Detention To Continue": বাংলাদেশি সন্দেহে ধরপাকড় চলবেই, অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিলনা মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট! Kanyasree Divas: কন্যাশ্রী দিবসে সাফল্যের খতিয়ান মুখ্যমন্ত্রীর, বিশ্বের ৫৫২ প্রকল্পের মধ্যে সেরা পশ্চিমবঙ্গের কন্যাশ্রী!

 

kolkata

6 hours ago

Khela Hobe Dibas: খেলা হবে দিবস উদযাপিত, মুখ্যমন্ত্রীর অভিনন্দন বার্তা

Chief Minister makes special announcement on Khela Hobe Dibas
Chief Minister makes special announcement on Khela Hobe Dibas

 

কলকাতা , ১৬ আগস্ট  : রাজ্য জুড়ে শনিবার 'খেলা হবে দিবস' পালিত হল। এই উপলক্ষে শনিবার সমস্ত ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়াপ্রেমীকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক্স হ্যান্ডেলে এক বার্তায় তিনি জানান, - মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, মহামেডান স্পোর্টিং সহ রাজ্যের গ্রাম-শহরের সকল ক্লাবকেও এই দিনে আমার শুভেচ্ছা জানাই। উল্লেখ্য , ২০১১ সালের পর থেকে বাংলায় অন্যান্য নানা ক্ষেত্রের মতো ক্রীড়াক্ষেত্রেও প্রভূত উন্নয়ন করা হয়েছে। তার ফলে এখন বাংলা ফুটবল থেকে শুরু করে জিমন্যাস্টিক্স, যোগ ব্যায়াম, আর্চারি, টেবিল টেনিস – সব কিছুতেই জাতীয় স্তরে এগিয়ে রয়েছে। বর্তমান সময়ে যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরের বাজেট বরাদ্দ ৬.৬ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে (২০১১ সালের ১২৬ কোটি টাকা থেকে বেড়েছে, ২০২৫ - ২৬ সালে তা হয়েছে ৮৪০ কোটি টাকা)। বর্তমান সরকারের সময়ে ৫৮টি স্টেডিয়াম, ৪২টি যুব হোস্টেল, ৫টি ইন্ডোর স্টেডিয়াম, ৭৯৫টি মিনি-ইন্ডোর স্টেডিয়াম, ৪ হাজারেরও বেশি মাল্টি-জিম, ৬টি সুইমিং পুল, ৪২৩টি খেলার মাঠ হয়েছে। এছাড়াও ৮টি স্পোর্টস অ্যাকাডেমি শুরু হয়েছে যার মধ্যে রয়েছে - ফুটবল, মহিলা ফুটবল, তীরন্দাজি, লন টেনিস, টেবিল টেনিস, সাঁতার, রাইফেল শ্যুটিং এবং ব্যাডমিন্টন অ্যাকাডেমি। সেইসঙ্গে ভারতীয় ফুটবলে মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল ও মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তাদের রাজ্যের সর্বোচ্চ সম্মান 'বঙ্গ বিভূষণ' দেওয়া হয়েছে এবং পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য তাদের ২৭ কোটি টাকার বেশি অনুদান দেওয়া হয়েছে।

'খেলাশ্রী' - প্রকল্পের অধীনে খেলাধুলার উন্নতির জন্য ৩৪ হাজারেরও বেশি ক্লাবকে অনুদান (প্রতি ক্লাবকে ৫ লক্ষ টাকা) দেওয়া হয়েছে। খেলাধুলার প্রসারে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। ১,৩৫২টি কোচিং ক্যাম্পকে ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে এবং ৩৪টি ক্রীড়া সংস্থাকে বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকা করে প্রদান করা হচ্ছে। সন্তোষ ট্রফি জয়ী বাংলা ফুটবল দলের ২১ জন খেলোয়াড়কে রাজ্য সরকার পুলিশ বিভাগে চাকরি দিয়েছে। যুবকদের খেলাধুলায় উৎসাহিত করতে এবং পিছিয়ে পড়া অঞ্চলের মানুষকে মূলস্রোতে আনতে আমরা সুন্দরবন কাপ, জঙ্গলমহল কাপ, হিমাল-তরাই-ডুয়ার্স কাপ এবং রাঙামাটি কাপ আয়োজন করেছি। শুধু তাই নয়, যারা ভালো খেলছে তাদের অনেককেই সিভিক ভলেন্টিয়ার হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে। এছাড়াও, বিভিন্ন পুরস্কার বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদদের দেওয়া হয়ে থাকে। ৪৬০ জন বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ - ‘খেল সম্মান’, ‘বাংলার গৌরব’, ‘ক্রীড়াগুরু’, ‘জীবনকৃতি’ পুরস্কার পেয়েছেন। ১,৫৮০ জন স্বনামধন্য এবং অবসরপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদকে মাসিক পেনশন দেওয়া হচ্ছে।

বাংলার এভারেস্ট জয়ী পর্বতারোহীদের জন্য রাধানাথ শিকদার - তেনজিং নোরগে অ্যাডভেঞ্চার অ্যাওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। মহিলা পর্বতারোহীদের জন্য চালু হয়েছে ‘ছন্দা গায়েন সাহসিকতা পুরস্কার’ (ছন্দা গায়েন ছিলেন প্রয়াত তরুণী পর্বতারোহী)। এই মুহূর্তে গর্বিত যে আমাদের সময়কালে ২১ জন বাঙালি পর্বতারোহী এভারেস্ট জয় করেছেন। ছেলেমেয়েদের কাজের সুযোগ করে দেবার জন্য ১২টি যুব বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও ৯১২টি যুব কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও চালানো হচ্ছে। আগামীদিনেও বাংলায় খেলাধুলোর উন্নয়নে আমরা এভাবেই কাজ করে যাবো।

You might also like!