International

9 months ago

Santa Clous : সান্তা বুড়ো কে ৬৮ বছর ধরে ট্র্যাক করছে এই ইন্টেলিজেন্স সংস্থা

Santa Claus (Symbolic Picture)
Santa Claus (Symbolic Picture)

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বড়দিনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়ছে সান্তা ক্লজের নাম। সান্তা ক্লজ বলতে আমরা যাকে চিনি, তিনি লাল রঙের পোশাক, চোঙা আকৃতির লম্বা টুপি পরা ইয়া লম্বা সাদা চুল-দাড়িওয়ালা এক বৃদ্ধ লোক। হরিণ টানা স্লেজে চড়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিশুদের উপহার পৌঁছে দেন যিনি। সান্তা ক্লজ কাল্পনিক চরিত্র হলেও বাস্তবের এঁরা তা নন। ওঁরা সত্যিকারের সান্তাক্লজ। কয়েক দশক ধরে বড়দিনের সময় যেন সান্তা ক্লজের ভূমিকা নিয়ে আসছে যৌথ মার্কিন-কানাডিয়ান মিলিটারি মনিটরিং এজেন্সি। বিশ্বজুড়ে শিশুদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া তাদের একমাত্র লক্ষ্য। ৬৮ বছর ধরে শিশুদের মুখে হাসি ফোটানোই একমাত্র উদ্দেশ্য। সালটা যখন ২০২৩ তখন প্রযুক্তির সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়েছে শিশুদেরও। মুহূর্তে মুহূর্তে সান্তা জানান দিচ্ছে নিজের ঠিকানা।

www.noradsanta.org সাইটটিতে ক্লিক করলেই আপনি দেখতে পাবেন গ্রাফিকাল উপস্থাপনার মাধ্যমে সান্তাক্লজ ও তাঁর স্লেজ গাড়িতে করে আমেরিকার ঘুরে চলেছেন। দিয়ে চলেছেন উপহার। ভার্চুয়াল উপস্থাপনার মাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে দর্শকের কাছে। কাল্পনিক একটি উপস্থাপনার মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে সান্তার অবস্থান। নর্থ অ্যামেরিকান এয়ারোস্পেস ডিফেন্স কম্যান্ড সংক্ষেপে নোয়ার্ড এমন এক প্রযুক্তি এনেছে, যাতে বড়দিনের আগের দিন থেকেই জেনে নেওয়া যাচ্ছে সান্টা বুড়োর হাল হকিকত। https://www.noradsanta.org/ নিজস্ব এক সাইটে ক্লিক করলেই দেখা যাচ্ছে দুনিয়াজুড়ে। ক্লিক করলেই দেখা যাচ্ছে স্লেজ গাড়িতে করে খুশির ঝোলা নিয়ে দুনিয়া ঘুরে বেড়াচ্ছে সান্টা ক্লজ। দুনিয়া এখন হাতের মুঠোয়, সঙ্গে সান্টাও। তবে কিনা প্রযুক্তিতে এখনও সবার সমান অধিকার আসেনি বিশ্বে। একদিন নিশ্চয়ই এমন দিন আসবে, যখন পৃথিবীর সব ফুটে থাকা ফুল জেনে নিতে পারবে, কোথায় আছে তার সান্টা।

গুগল ২০০৪ সাল থেকে ভার্চুয়ালি সান্তাকে ট্র্যাক করা শুরু করে বলে জানা গিয়েছে। বড়দিনের আগে সান্তা কোথায় রয়েছে তা দেখে নেওয়া যায় গুগলের ওয়েবসাইট ও সান্তা ট্র্যাকার ২০২৩ অ্যাপে। এই বছর গুগলের সান্তা ট্র্যাকারে ক্লিক করলে শুধু যে সান্তার অবস্থান শুধু জানা যাবে তা নয় সঙ্গে সঙ্গে শোনা যাবে নানা জোকসও, খেলা যাবে কুইজ মজার গেমও। কাল্পনিক ভাবে NORAD সান্তার অবস্থান জানান দিয়ে চলেছে ১৯৫৫ সাল থেকে।

বড়দিনের সব শিশুর মনে একটাই প্রশ্ন থাকে কোথায় আছে সান্তা? শিশুমনে তখন একটাই প্রশ্ন জাগে আমায় কখন গিফট দিয়ে যাবে সান্তা? শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে সেবার বড় দিনের সময় কলোরাডো স্প্রিংস পত্রিকায় একটি বিজ্ঞাপন দিয়ে শিশুদের সান্তাকে ফোন করতে আহ্বান জানানো হয়েছিল। কিন্তু অসাবধানতাবশত কন্টিনেন্টাল এয়ার ডিফেন্স কমান্ডের ফোন নম্বর ছেপে যায়। বাচ্চা ও বয়স্করা ওই নম্বরেই ফোন করতে থাকে। তাদের কারও মন ভাঙতে চায়নি নোরাড। ফোনের ওপার থেকে শিশু, বয়স্কদের সঙ্গে মজা-হাসি-ঠাট্টায় মাতেন অফিসাররা। তারপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তির উন্নতি ঘটেছে। বর্তমানে ক্লিক করেই জেনে নেওয়া যায় সান্তার অবস্থান।

You might also like!