দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: অশান্ত নেপালে ওলি-পরবর্তী রাজনীতিতে এখন সবার নজর নতুন নেতৃত্বের দিকে। দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। প্রথমে অন্তর্বর্তী নেতা হিসেবে কাঠমান্ডুর মেয়র বলেন্দ্র শাহের নাম উঠে এলেও আন্দোলনকারীদের ডাকে তিনি সাড়া দেননি। বরং বুধবার গভীর রাতে সমাজমাধ্যমে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকির প্রতি নিজের সমর্থনের কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন তিনি। ওলি পতনের পর আন্দোলনকারীদের মধ্যে যে নামটি সবচেয়ে বেশি সমর্থন পেয়েছে, তা সুশীলা কারকির। ফলে নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর কুরসিতে বসা এখন কার্যত সময়ের অপেক্ষা।
এদিন সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টে বলেন্দ্র লেখেন, ‘দেশ এবার সোনালী ভবিষ্যতের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। জেন জি-সহ নেপালের সকল নাগরিককে দেশে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা কেউ আতঙ্কিত হবেন না। ধৈর্য ধরুন। নেপাল একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করতে চলেছে, যা দেশের নতুন নির্বাচন পরিচালনা করবে। নির্বাচন পরিচালনার পাশাপাশি এই অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ হল দেশকে নতুন দিশা দেখানো।’ এরপরই তিনি লেখেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে আপনারা প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকির নাম প্রস্তাব করেছেন। আপনাদের এই সিদ্ধান্তে আমার পূর্ণ সমর্থন এবং সম্মান রয়েছে।’ ‘জেন জি’র এই ঐতিহাসিক বিপ্লব রক্ষা করার জন্য তিনি নেপালের প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পৌডেলকে সংসদ ভেঙে দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন।
নেপালে নেতৃত্বের দৌড়ে শুধু বলেন্দ্র শাহ বা সুশীলা কারকি নন, আলোচনায় উঠে আসছে আরও কয়েকজন প্রভাবশালী নাম। ‘জেন জি’-র ভারচুয়াল বৈঠকে উঠে এসেছে নেপালের বিদ্যুৎ পরিষদের প্রধান কুলমন ঘিসিং, তরুণ নেতা সাগর ধাকাল এবং ধারানের মেয়র হারকা সামপাংয়ের নামও। তবে কারকি যদি সম্মতি দেন, তাহলেই তিনি সরাসরি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। নিয়ম মেনে প্রথমে তাঁকে দেখা করতে হবে সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেলের সঙ্গে। তারপর প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পৌডেলের অনুমোদন মিললেই প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির হাতে আসতে পারে দেশের দায়িত্বভার। তবে এত কিছুর পর অশান্ত নেপালে শান্তি ফিরবে কি না, সেই উত্তর আপাতত সময়ের হাতেই।