International

1 year ago

death Rise in Libya: মৃতদেহ উদ্ধার থামছেই না; লিবিয়ায় বন্যায় ৬-হাজার ছাড়িয়ে গেল মৃত্যুর সংখ্যা, নিখোঁজ বহু মানুষ

Flood in Libiya (Collected)
Flood in Libiya (Collected)

 

ত্রিপোলি, ১৪ সেপ্টেম্বর : যেদিকে চোখ যায় শুধুই ধ্বংসলীলা, থামছে না মৃতদেহ উদ্ধার। ঘরবাড়ির ধ্বংসস্তূপ, কাদাজল, রাস্তাঘাটে পড়ে রয়েছে মৃতদেহ। লিবিয়ায় ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে সে দেশের সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে। পূর্বাঞ্চলীয় শহর ডারনা থেকে ত্রাণ এবং উদ্ধারকারী দল আরও মৃতদেহ উদ্ধার করছেন। ফলে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ত্রিপোলির স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অবর সচিব সাদেদিন আবদুল ওয়াকিল মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন।ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস অ্যান্ড রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির মতে, বন্যা কবলিত এলাকায় প্রায় ৪০ হাজার মানুষ গৃহহীন। এখনও নিখোঁজ কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষ।

গত ৪ সেপ্টেম্বর গ্রিসের উপকূলে ভূমধ্যসাগরের উপর তৈরি হয়েছিল ঝড় ‘ড্যানিয়েল’। এর ফলে ৫ এবং ৬ সেপ্টেম্বর গ্রিসে রেকর্ড বৃষ্টিপাত ঘটে। গ্রিসের জাগোরা গ্রামের একটি অংশে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৭৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। যা প্রায় ১৮ মাসের বৃষ্টিপাতের সমতুল্য। থেসালি, মধ্য গ্রিসের অনেক অংশে ২৪ ঘণ্টায় ৪০০ থেকে ৬০০ মিমি বৃষ্টিপাত হয়। প্রবল বৃষ্টির ফলে গ্রিসে ১৫ জনের প্রাণহানি হয়। ‘ড্যানিয়েল’ ক্রমে শক্তি সঞ্চয় করে লিবিয়ার দিকে অগ্রসর হয় এবং ক্রমে ‘মেডিকেন’ (মেডিটেরানিয়ান হারিকেন)-এ পরিণত হয়। ‘মেডিকেন’-এ গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় এবং মধ্য-অক্ষাংশের ঝড়ের কিছু বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। এই ঝড় সাধারণত সেপ্টেম্বর এবং জানুয়ারির মধ্যে তৈরি হয়। লিবিয়ার জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র জানিয়েছে, ১০ সেপ্টেম্বর তীব্রতর হয় ‘ড্যানিয়েল’। এর ফলে দেশের বিভিন্ন অংশে ১৫০ থেকে ২৪০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে হড়পা বানের সৃষ্টি হয়েছে। সব চেয়ে বেশি হয়েছে লিবিয়ার আল-বায়দাতে। সেখানে ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় ৪০০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।

গত রবিবার ভয়ঙ্কর শক্তি নিয়ে ‘ড্যানিয়েল’ আছড়ে পড়ে লিবিয়ার উপকূলে। ‘ড্যানিয়েল’-এর তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে আল-বায়দা, আল-মার্জ, তোবরুক, বাতাহ-র মতো বেশ কিছু শহর। তবে এদের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ডারনা এবং বেনগাজির। প্রবল বৃষ্টি এবং হড়পা বানের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে লিবিয়ার শহর ডারনা। ডারনায় বেশ কয়েকটি নদীবাঁধ রয়েছে। ঝড়ের তাণ্ডবে তিনটি বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় জলের তোড়ে ভাসিয়ে নিয়ে একেবারে সমুদ্রে নিয়ে ফেলেছে বহু বসতি। আর তার জেরেই বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ হয়েছেন হাজারো মানুষ।

You might also like!