দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বসন্ত পঞ্চমীর দিন থেকেই আমাদের রাজ্যে 'কুল' খাওয়া শুরু হয়। খুব বেশি দিন এই কুলের অস্তিত্ব থাকে না। এখন কৃষি প্রযুক্তি ব্যাপক উন্নতির ফলে বিভিন্ন রকম কুল উৎপাদন হচ্ছে। যেমন সাধারণ কুল,আপেল কুল,নারকেল কুল,বাও কুল ইত্যাদি। তবে পুষ্টিগুনে সব কুলি কমবেশি সমান। কুলে আছে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসহ আরও অনেক উপকারী উপাদান। যা আমাদের রোগ প্রতিরোধে যেমন ভূমিকা রাখে, অন্যদিকে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয়। এর ভেতরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ফ্রি র্যাডিকেলগুলোকে নিস্ক্রিয় করে দেয়।ক্যান্সার প্রতিরোধ করে কুল।
এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান টিউমারের উপর সাইটোটক্সিক প্রভাব বিস্তার করে। যার ফলে শরীরে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
এছাড়াও শুকনো কুলের মধ্যে স্যাপোনিন, অ্যাল্কালয়েড এবং ট্রাইটারপেনয়েড উপাদান থাকে যারা রক্ত পরিশুদ্ধ করে এবং হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে। ক্ষুধাবর্ধক এবং হজমে সাহায্য করে।কুল কোষ্ঠকাঠিন্যসহ অন্যান্য হজমজনিত সমস্যার সমাধান করে। ক্ষুধাবর্ধক হিসেবে কাজ করে।ওজন নিয়ন্ত্রণ।
কুলে একই সঙ্গে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও আয়রন সমৃদ্ধ হওয়ায় হাড় গঠনে এবং দাঁতের সুরক্ষায় ভূমিকা রাখে। যা হাড় শক্ত ও মজবুত করতে সাহায্য করে।
ইনসোমনিয়া বা অনিদ্রা দূর করে কুল অবসাদ এবং দুশ্চিন্তা দুর করে। ইনসোমনিয়া এবং দুশ্চিন্তা অনেক মানুষের ক্ষেত্রে দেখা যায়। বরই এর শক্তিশালি উপাদানগুলি অনিদ্রা এবং দুশ্চিন্তা কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। সামগ্রিকভাবে কুল খুবই উপকারী ফল অথচ স্বল্পস্থায়ী। তাই এই সময় ফলের তালিকায় নিয়মিত কুল রাখুন।