দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ছোটদের পর্যাপ্ত সময় ঘুম দরকার। তাহলেই সে একদম হেসে-খেলে জীবন কাটাতে পারবে। এমনকী পর্যাপ্ত সময় ঘুমালে সন্তানের বৃদ্ধি এবং বিকাশও হবে তাড়াতাড়ি। আর সেই কারণেই বাচ্চারা পর্যাপ্ত সময় ঘুমাচ্ছে কিনা এই দিকটায় বাবা-মায়েদের খেয়াল রাখতেই হবে। আর যদি দেখেন আপনার সন্তান ৮ ঘণ্টারও কম সময় ঘুমাচ্ছে, তাহলে তার ডায়েটে এমন কিছু খাবারকে জায়গা করে দিতে হবে যা খেলে তার চোখে দ্রুত নেমে আসবে ঘুমপরীরা!
ভাবছেন নিশ্চয়ই, এমন কোন কোন খাবার রয়েছে যা খেলে সন্তান দ্রুত তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়বে? সেই বিষয়টি সম্পর্কে বিশদে জানতে চাইলে ঝটপট এই নিবন্ধটি পড়ে ফেলুন। তারপর এইসব খাবারকে তার ডায়েটে জায়গা করে দিন। আশা করছি, এই কাজটা করলেই পর্যাপ্ত সময় ঘুমাতে পারবে সন্তান।
ডুমুরের জুড়ি মেলা ভার
বাংলার এই পুরনো ফলের কদর আজ প্রায় নেই বললেই চলে। তবে জানলে অবাক হয়ে যাবেন, এই তথাকথিত ‘ব্যাকডেটেড’ ফল কিন্তু পুষ্টির ভাণ্ডার। এমনকী এতে মজুত আয়রন, পটশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম মাসলকে রিলাক্স হতে সাহায্য করে। আর সেই সুবাদেই খুব সহজেই চোখে দানা বাঁধে ঘুম। তাই আপনার সন্তানের পাতে আজ থেকেই এই ফলকে জায়গা করে দিন।
কলার বিকল্প নেই
আপনার সন্তান কি কলা খেতে ভালোবাসে? এই প্রশ্নের উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে আর তার ঘুম নিয়ে চিন্তা করে লাভ নেই। কারণ এই ফলে রয়েছে পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়ামের ভাণ্ডার যা কিনা পেশিকে বিশ্রাম নিতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এই ফলে খোঁজ মেলে ট্রিপটোফ্যান নামক একটি উপাদানের যা কিনা সেরোটোনিন এবং মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ায়। ফলে খুব সহজেই চোখে নেমে আসে ঘুমপরীরা। তাই আজ থেকেই সন্তানকে নিয়মিত কলা খাওয়ান।
মিষ্টি আলুই মহৌষধি
ছোট্ট সোনার শরীরে ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি মিটিয়ে ফেলতে চাইলে তাকে নিয়মিত মিষ্টি আলুর পদ রেঁধে খাওয়াতেই হবে। তবে এখানেই শেষ নয়, এই সবজিতে এমন কিছু উপকারী উপাদান রয়েছে যা কিনা ছোট্ট সোনার চোখে ঘুম এনে দেওয়ার কাজেও সিদ্ধহস্ত। তাই আর সময় নষ্ট না করে আজ থেকেই আপনার বাচ্চার সঙ্গে এই সবজির বন্ধুত্ব করিয়ে দিন। হলফ করে বলতে পারি, এই সবজি কখনও আপনার সন্তানকে নিরাশ করবে না।
অনন্য বাদাম
সন্তানের চোখে ঘুম এনে দিতে চাইলে তাকে নিয়মিত বাদাম খাওয়াতেই হবে। কারণ আমাদের পরিচিত প্রায় সব বাদামেই রয়েছে একাধিক খনিজের ভাণ্ডার যা কিনা পেশির ব্যথা-বেদনা কমায়। শুধু তাই নয়, এইসব উদ্ভিজ্জ খাবারে বেশ কিছুটা পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডেরও খোঁজ মেলে। আর এই উপাদান চোখে ঘুম এনে দেওয়ার কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই ছোট্ট সোনাকে পর্যাপ্ত সময় ঘুম পাড়াতে চাইলে তাকে রোজ একমুঠো বাদাম খাওয়াতে ভুলবেন না যেন!
সেরার সেরা ওটস
এই খাবার হল ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ফসফরাস এবং পটাশিয়াম থেকে শুরু করে একাধিক খনিজের আঁতুরঘর। আর এই সমস্ত উপাদান কিন্তু শরীরের হাল ফেরানোর পাশাপাশি চোখে ঘুম বয়ে আনার কাজেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে। আর এই কারণেই বিশেষজ্ঞরা ছোটদের নিয়মিত ওটস খাওয়ানোর পরামর্শ দেন।