Health

1 year ago

Prostate Cancer | প্রস্রাবে রক্ত অবহেলার ফল মারাত্মক হতে পারে | Dr. Nilanjan Mitra

Blood in usin may be indication of critical deasies
Blood in usin may be indication of critical deasies

 

ডাঃ নীলাঞ্জন মিত্র: প্রতিদিন আমরা যে খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করি তার অধিকাংশই শরীরের প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয় এবং অপ্রয়োজনীয় বর্জ্য পদার্থ মল বা মূত্রের দ্বারা শরীরের বাইরে নির্গত হয়। সাধারণ অর্থে এটি খুবই স্বাভাবিক একটি শারীর-বৃত্তিয় প্রক্রিয়া। কিন্তু নানা কারণবশত যখন এই রেচন ক্রিয়ার সমস্যা দেখা যায় তখন অন্যতম যে উপসর্গটি পরিলক্ষিত হয় তা হল প্রস্রাবের সাথে রক্তক্ষরণ। যথাযথ সময়ে চিকিৎসার অভাবে যার পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে। জানালেন কনসালটেন্ট ইউরোলজিস্ট ডাঃ নীলাঞ্জন মিত্র।
প্রস্রাবের মধ্যে রক্তক্ষরণ চিকিৎসার পরিভাষায় হেমাচুরিয়া নামে পরিচিত। প্রস্রাবে দু ধরণের রক্ত লক্ষ্য করা যায়। প্রথমত গ্রস হেমাচুরিয়া অর্থাৎ যা খালি চোখে দেখা প্রস্রাবে রক্তের উপস্থিতি বোঝা যায় এবং দ্বিতীয়ত মাইক্রোস্কোপিক হেমাচুরিয়া অর্থাৎ যেখানে মাইক্রোস্কোপিক পরীক্ষায় প্রস্রাবে ব্লাড সেলের উপস্থিতি বোঝা যায়।



এইসবের কারণ 

ইউরিনারি (ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন), নেফ্রোলিথিয়াসিস, কিডনি ডিজিজ, প্রস্টেট গ্ল্যান্ডের বৃদ্ধি (বিনাইন প্রস্টেটের কারণ), ক্যামসার (কিডনি বা ব্লাডার ক্যানসার), ইউরিনারি ট্র্যাক্টে কোনও আঘাত।
এর উপসর্গগুলি সাধারণত হেমাচুরিয়ার কারণ এবং রোগীর শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে। দৃশ্যমান উপসর্গ হল লাল, গোলাপী রঙের প্রস্রাব। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রক্তযুক্ত প্রস্রাবের সঙ্গে অন্যান্য কোনও উপসর্গ দেখা যায় না। আবার অনেক সময় রোগী বুঝতে পারেন না তার প্রস্রাবের সাথে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। অনেক সময় অ্যাবডোমিনাল পেইন, জ্বর, বারে বারে প্রস্রাব, প্রস্রাবের সময় যন্ত্রণা হওয়ার মতো উপসর্গও দেখা দিতে পারে।
এই রোগের রিস্ক ফ্যাক্টর হল শিশু এবং টিনএজার ছাড়া প্রায় কম-বেশি প্রত্যেকটি মানুষেরই প্রস্রাবে লোহিত রক্তকণিকা থাকে। এছাড়াও অন্যান্য ফ্যাক্টরগুলি হল - বয়স, সাম্প্রতিক কোনও সংক্রমণ, পারিবারিক ইতিহাস, নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ।

এই রোগের শনাক্তকরণ 

প্রস্রাবের রুটিন পরীক্ষা ও কালচার সেনসিটিভিটি, রোগীর শারীরিক পরীক্ষা, সিটি স্ক্যান (কিডনি), ইউরেটর এবং ব্লাডারের, এম. আর. আই. আল্ট্রাসাউন্ড, সিস্টোস্কোপি, এন্ডোস্কোপি।
কিছুক্ষেত্রে হেমাচুরিয়া ইডিওপ্যাথিক হয় অর্থাৎ তার সঠিক কারণ জানা যায় না। এই কারণে পঞ্চাশোর্ধ মানুষের ক্ষেত্রে বছরে একবার PSA টেস্টের কথা বলা হয়। বিশেষত রোগীর শরীরে যদি ব্লাডার ক্যানসারের রিস্ক ফ্যাক্টর থাকে।
হেমাচুরিয়া চিকিৎসা তার কারণের উপর নির্ভর করে। যে কারণে রোগীর শারীরিক অবস্থা এবং সমস্যার উৎসের ওপর বিশেষ আলোকপাত করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে ইউরিনারি ট্র্যাক্টের সংক্রমণের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। এনলার্জড প্রস্টেটের ক্ষেত্রেও কিছু ওষুধের ব্যবহার করা হয়। এছাড়া ট্রমা বা আঘাতের ক্ষেত্রে সার্জারি, ব্লাডার এবং কিডনি স্টোন ভাঙার ক্ষেত্রে লিথোট্রিপ্সি বা শক ওয়েভ থেরাপিও দেওয়া হয়ে থাকে।


সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা

সতর্কতামূলক হিসাবে ডায়াবেটিস রোগীদের হেমাচুরিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। ডায়াবেটিস ধরা পড়ার পাঁচ বছরের মধ্যে নিয়মিত প্রস্রাব পরীক্ষা করানো জরুরি। হেমাচুরিয়া যেহেতু নানান ধরণের ক্যানসারেরও উপসর্গ, তাই রোগীর শরীরে কোনও উপসর্গ দেখলেই তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি। এছাড়াও সংক্রমণ এড়াতে প্রচুর পরিমাণে জল পান করা ও পরিচ্ছন্নতা বজায়
রাখাও আবশ্যক। ব্লাডার ক্যানসার প্রতিরোধে ধূমপান, মদ্যপানে বিরত থাকা আবশ্যক। স্টোন এড়াতে খাবারে লবণের পরিমাণ কম রাখা আবশ্যক। সর্বোপরি বলা যায়, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, সুস্থ জীবন যাত্রা মেনে চললে এই রোগকে অনেকাংশেই প্রতিরোধ করা সম্ভব।


Dr. Nilanjan Mitra

MBBS, MS - General Surgery, MCh - Urology
Urological Surgeon,
18 Years Experience Overall  (13 years as specialist)

AndrologistLaparoscopic Surgeon

বর্তমানে ঢাকুরিয়া,মুকুন্দপুর AMRI Hospital এবং DESUN Hospital এর সাথে যুক্ত 


বিশদে জানতে যোগাযোগ করুনঃ 9830426221/9874195200
Email: drnilanjanmitraurologist@gmail.com

You might also like!