দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ আমাদের মধ্যে অনেকেরই দিন শুরু হয় চায়ের সঙ্গে বিস্কুট খেয়ে। তবে চায়ের সঙ্গে বিস্কুট খাওয়া কি আদৌ উচিত? নাকি এই ভুলের ফাঁদে পা দিলে একাধিক জটিল অসুখের ফাঁদে পড়ে কষ্ট পেতে হবে? এই বিষয়েই নিজের মতামত দিলেন কলকাতা শহরের বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ। আশা করছি, তাঁর পরামর্শ মেনে চললেই আপনি সুস্থ থাকবেন।
চায়ের সঙ্গে কি বিস্কুট খাওয়া উচিৎ? এই প্রশ্নের উত্তরে শর্মিষ্ঠা রায় দত্ত জানালেন, আমরা সকলেই চা-টা খাওয়াও বিশ্বাসী। আর এই ‘টা’ হল বিস্কুট। তবে জানলে অবাক হয়ে যাবেন, আমাদের পরিচিত প্রায় সব বিস্কুটই শরীরের জন্য বেশ কিছুটা হলেও ক্ষতিকর। এমনকী এই খাবার নিয়মিত খেলে একাধিক জটিল সমস্যার ফাঁদে পড়ার আশঙ্কাও বাড়ে। তাই চায়ের সঙ্গে বিস্কুট না খাওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
বিপদের অপর নাম ময়দা
আমাদের অতি পরিচিত সব মুখোরোচক বিস্কুটে বেশ কিছুটা পরিমাণে ময়দা থাকে। আর এই ফাইবারবিহীন খাবার যে শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর, তা আর আলাদা করে বলতে হবে না নিশ্চয়ই।
শুধু তাই নয়, বিস্কুটের মতো বেকড প্রোডাক্ট তৈরির সময় বেশ কিছুটা পরিমাণে ফ্যাটও ব্যবহার করা হয়। আর এই উপাদান হার্টের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে বিস্কুট যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।
নুন-মিষ্টির ভাণ্ডার
বেশিরভাগ বিস্কুটেই প্রচুর পরিমাণে মিষ্টি মেশানো থাকে। আর এই উপাদান রক্তে সুগার এবং ট্রাইগ্লিসারাইডস বাড়ানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। এদিকে আবার সব নোনতা বিস্কুটে থাকে নুনের ভাণ্ডার। আর এই উপাদানের কারসাজিতেই বিপদসীমার উপরে চলে যায় ব্লাড প্রেশার। এইসব কারণেই মূলত চায়ের সঙ্গে বিস্কুট না খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
ক্রিম ক্র্যাকার কি চলতে পারে?
শর্মিষ্ঠা রায় দত্তের কথায়, ক্রিম কেকার বিস্কুট সাধারণত আটা দিয়ে তৈরি হয়। তাই এতে ক্ষতির আশঙ্কা কিছুটা কম। তবে এই বিস্কুট তৈরির সময়ও কিন্তু ফ্যাট ব্যবহার করা হয় যা কিনা ওজন বাড়ানো, কোলেস্টেরল বৃদ্ধি সহ একাধিক জটিলতা বাঁধাতে পারে। তাই চায়ের সঙ্গে এই ধরনের বিস্কুটও এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। এমনকী পুষ্টিবিদের পরামর্শ ছাড়া জিরো ক্যালোরি বিস্কুট এবং ডায়জেস্টিভ বিস্কুটও খাওয়া উচিত নয়।
পরিবর্তে খেতে পারেন এইসব খাবার
চায়ের সঙ্গে যদি একান্তই কিছু খেতে হয়, তাহলে অল্প পরিমাণে মুড়ি বা চিঁড়ে খেতে পারেন। তাতেই গ্যাস-অ্যাসিডিটি সহ একাধিক সমস্যার ফাঁদ এড়িয়ে যেতে পারবেন। আর পকেটে সইলে খেতে পারেন মাখনা, রোস্টেড ছোলার মতো খাবারগুলিও। তাতে যেমন মন ভরবে, ঠিক তেমনই দেহে পুষ্টির ঘাটতিও মিটে যাবে।