কলকাতা, ৮ জানুয়ারি : হিমা দাস একজন কৃতী ভারতীয় অ্যাথলিট। হিমা ভারতের প্রথম অ্যাটলিট যিনি যে কোনও পর্যায়ের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ট্র্যাক ইভেন্টে সোনা জিতেছেন। ২০০০ সালের ৯ জানুয়ারি আসামের ধিং গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন হিমা। কৃষক পরিবারের মেয়ে হিমা। পিতা রঞ্জিত দাস একজন কৃষক। তিনি ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলা ভালবাসতেন। তবে প্রথমে ফুটবল দিয়ে শুরু করেন।
২০১৮ সালের অনূর্ধ্ব কুড়ি জুনিয়র বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ফিনল্যান্ডের টেম্পারে মহিলাদের ৪০০ মিটার স্বর্ণপদক জিততে সময় নিয়েছেন ৫১.৪৬ সেকেন্ড। ২০১৮ জাকার্তা এশিয়ান গেমসে মহিলাদের ৪০০ মিটারে রৌপ্য পদক এবং মহিলাদের ৪x৪০০ মিটার মিশ্র রিলেতে স্বর্ণপদক জিতেছেন।
এক স্থানীয় কোচ পরামর্শ দেন অ্যাথলেটিকসে আসার জন্য। সেই শুরু আর পিছনে তাকাতে হয়নি হিমাকে। এরপরই হিমা এক আন্ত–জেলা প্রতিযোগিতায় ১০০ ও ২০০ মিটারের স্বর্ণপদক জিতে নেন। সেখানে তাঁকে যুব কল্যাণ অধিদপ্তরের অ্যাথলেটিক্সের কোচ নিপন দাস দেখতে পান। তিনি হিমার পিতাকে বোঝান যে হিমার অ্যাথলেটিকসে ভবিষ্যৎ আছে এবং তিনি হিমাকে তাঁর গ্রাম থেকে ১৪০ কিলোমিটার দূরে গুয়াহাটিতে স্থানান্তর করার করার কথা বলেন, যাতে হিমা অ্যাথলেটিকসে উন্নতি করতে পারে। কোচের কথায় হিমার বাবা রাজি হয়ে যান।
সারুজাই স্পোর্টস কমপ্লেক্সের কাছাকাছি একটি ভাড়ার বাসস্থানে হিমার থাকার ব্যবস্থা করে দেন তাঁর কোচ নিপন দাস এবং তিনি অবশেষে রাষ্ট্র অ্যাকাডেমিতে হিমাকে ভর্তি নেওয়ার জন্য আরজি জানান। যেহেতু অ্যাকাডেমিতে শুধু বক্সিং এবং ফুটবল শেখানো হতো, অ্যাটলিটদের জন্য কোনও পৃথক উইং ছিল না। কিন্তু কর্মকর্তারা হিমার পারফরমেন্স দেখার পর তাঁকে ভর্তি নেন। কোচ নিপন দাস এর সহযোগিতায় এবং নিজের চেষ্টার ফলে আজ ভারতের কৃতী অ্যাথলিট হতে পেরেছেন হিমা।