দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ রথযাত্রা নিয়ে নানা কথকথা ও লোক কথা শোনা যায়, শুধু ভিন্ন লোককথাই নয় এই উৎসব পালনের ক্ষেত্রে ও না না প্রকার আচার আচরন চোখে পড়ে। ভারতের না না প্রদেশে রথযারেয়া পালিত হলেও ওডিশা ও বাংলায় মূলত পালিত হয় এই উৎসব।
বাংলার মাহেশের রথ অধিক জনপ্রিয় হলেও পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকের সেলিমাবাদ গ্রামের রথযাত্রার নিয়মাবলী খানিক নজরকাড়া। মূলৎ সম্রাট সেলিম খানের দুর্গ স্থান হিসাবেই পরিচিত সেলিমাবাদ গ্রাম।কিন্তু এর ব্যতিক্রমী ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের রীতি ও অনেক ক্ষেত্রেই উল্লেখ্য।
এই গ্রামের রথে ব্রাত্য প্রভু জগন্নাথদেব, বলরাম ও সুভদ্রা।রথে বিরাক করেন রাধাকৃষ্ণ ও গোপাল।শুধু তাই নয় তিথি মতে রথের পরের দিন এই গ্রামের রঠের রশিতে টান পড়ে। উল্লেখ্য, এই রথযাত্রা প্রায় শতাধিক বছর ধরে মহা সমারোহে পালিত হচ্ছে সেলিমাবাদ গ্রামে। প্রসঙ্গত,ব্যতিক্রমি হলেও এই মাহাত্মকেই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এগিয়ে নিয়ূএ যেতে চান স্থানীয় মানুষজন।
প্রসঙ্গত, হিন্দু দেবদেবীর কোনও পুজোই পঞ্জিকা উল্লিখিত দিনে হয় না সেলিমাবাদ গ্রামে। সবই হয় পঞ্জিকায় উল্লেখিত দিনের পর দিন। সেই রীতি মেনেই আজ মঙ্গলবারের পরিবর্তে বুধবার সেলিমাবাদ গ্রামে গোঁসাই মতে হবে রথযাত্রা। ওইদিন রথে পুজিত হবেন শুধুমাত্র রাধাকৃষ্ণ ও গোপাল। পুজো শেষে ওই দিন দুই দেবতার মুর্তি রথে চাপিয়ে গ্রামের মাসির বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে।
কথিত আছে, এককালে সম্রাট সেলিম খান এই গ্রামে আস্তানা গেড়েছিলেন। সেই থেকে গ্রামটি সেলিমাবাদ নামে পরিচিতি পায়। হিন্দু ও মুসলিম সহ বিভিন্ন ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষ এই গ্রামে বসবাস করেন। গ্রামের মাঝামাঝি একটি জায়গায় রয়েছে ‘বাল গোপাল জীউ’-এর প্রাচীন মন্দির। সেই মন্দিরেই রথযাত্রা সহ হিন্দুদের অন্য সকল আরাধ্য দেবদেবীর পুজোপাঠ হয়ে থাকে, এবং সকল ধর্মীয় অনুষ্ঠানে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকল মানুষ ভেদাভেদ ভুলে অংশগ্রহন ও করেন।