দুরন্ত বার্তা
ডিজিটাল ডেস্কঃ- কবি নজরুল ইসলাম বলেছিলেন, “মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম, হিন্দু-মুসলমান”,
আর সেই বার্তাই ধরা পড়ে কালীমন্দিরে। কালীপুজোর রাতে সেজে ওঠে সমস্ত এলাকার মন্দির।
তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য যশোরেশ্বরী মন্দির। এই মন্দির বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর
উপজেলার ঈশ্বরীপুর গ্রামে অবস্থিত।
এখানে মায়ের
মুখটুকুই শুধু দেখা যায়। শ্রীযশোরেশ্বরীর বাকিটুকু কাপড় দিয়ে ঢাকা দিয়ে থাকে। মায়ের
মাথার ওপর টুকটুকে লাল রঙের চাঁদোয়া। মায়ের প্রিয় রক্তজবার মালা। তাই মাকে সকলে লাল
জবাব মালা দিয়ে পুজো দেন। নানা অলংকারে ভূষিতা মা। মাথায় সোনার মুকুট নজর কাড়ে। অনেকেই
বলেন, মালদার জাগ্রত জহুরা মায়ের সঙ্গে দেবীর অনেকটা মিল রয়েছে। এখানে কালী পুজো হয়
বেশ ধুমধাম করেই। এইসময় পাঁঠা বলিও হয়।
লোকমুখে প্রচলিত
আছে, বঙ্গদেশের হিন্দু রাজা প্রতাপাদিত্য মানুষের হাতের তালুর আকারের এক খণ্ড পাথর
পেয়েছিলেন অলৌকিক ভাবে। তার পরেই তিনি প্রতিষ্ঠা করেন এই মন্দির। যা নির্মাণ করেছিলেন
আনাড়ি নামে এক ব্রাহ্মণ। তিনিই এই মন্দিরে ১০০টি দরজা তৈরি করেন। পরবর্তী কালে মন্দির
সংস্কার করেন লক্ষ্মণ সেন ও রাজাপ্রতাপাদিত্য। সেই সঙ্গে পাশেই তৈরি করা হয় নাট মন্দির।
এই মন্দির হল
সম্প্রীতির আরেক নাম। কেননা এখানে শুধু হিন্দুরা নন, এখানে মানত করতে আসেন মুসলিম ভক্তরাও।
যাদের মনোস্কামনা পূরণ হয় তাঁরা মন্দিরের বারান্দা থেকে জোড়া পায়রা উড়িয়ে দেওয়ার
রীতি রয়েছে।