Festival and celebrations

1 year ago

Durga Puja 2023 : নয়া জলাধারের ভাবনা, এবারেও মহম্মদ আলি পার্কে বাড়িতে ফেরা হচ্ছে না উমার

Durga Puja at Mohammed Ali Park (File Picture )
Durga Puja at Mohammed Ali Park (File Picture )

 

কলকাতা, ১২ জুলাই  : এবারেও দুর্গাপুজো হচ্ছে না মহম্মদ আলি পার্কে। গত বছর চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ সংলগ্ন এই পার্কে দুর্গাপুজো নিয়ে রীতিমত বিতর্ক হয়েছিল। রাজনৈতিক শীর্ষস্তরে পৌঁছেছিল তার আঁচ। কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল পুরসভা এবারেও ভূগর্ভের জলাধার জীর্ণ হয়ে যাওয়ায় পার্কের ওপরে পুজোর অনুমতি দেবে না। শেষ পর্যন্ত সেই আশঙ্কাই সত্যি হতে চলেছে।

দীর্ঘ ব্যবহারে জীর্ণ হয়ে উঠেছে কলকাতা পুরসভার এই ভূগর্ভস্থ জলাধার। পুর কর্তৃপক্ষ এই অবস্থায় আর ঝুঁকি নিতে রাজি নয়। কলেজ স্ট্রিটের বাজারের কাছে মার্কাস স্কোয়ারে একটি বুস্টার পাম্পিং স্টেশন নির্মাণ করার পরিকল্পনা হয়েছে। এটিই মহম্মদ আলী পার্কের ভূগর্ভস্থ জলাধারের বিকল্প হিসাবে বিবেচিত হবে।

পুরসভাকে জরুরি ভিত্তিতে বিকল্প জলাধারের কথা ভাবতে হচ্ছে। কারণ সতর্কতার জন্য জল সরবরাহ বিভাগ শতাব্দী প্রাচীন জলাধারটির কিছুটা ভেঙে ফেলা হয়েছে। মহম্মদ আলী পার্কের পাশের দেওয়ালের একাংশে ২০১৯ সালে ফাটল দেখা দেয়। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দায়িত্ব দেওয়া হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞ একাধিক ইঞ্জিনিয়ারকে। তাঁরা প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পর পর্যাপ্ত সতর্কতা নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। পার্কের ওপরে মেলা ও পুজোর মত সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বলেন।

ঠিক হয়েছে, মার্কাস স্কোয়ারে নতুন ওয়াটার বুস্টার পাম্পিং স্টেশন না আসা পর্যন্ত, মহম্মদ আলি পার্কে দুর্গা পূজা সহ সব রকম জমায়েত নিষিদ্ধ থাকবে। কেএমসি জল সরবরাহ বিভাগের এক আধিকারিক জানিয়ে বুধবার বলেন, নতুন ভূগর্ভস্থ জলাধারটি তৈরি হবে ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে। মধ্য কলকাতার শত শত বাসিন্দাদের চাহিদা পূরণ করবে সেটি। বুধবার পুরসভার মেয়র-ইন-কাউন্সিলের সভায় ওঠার কথা প্রসঙ্গটির৷

পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, “বিষয়টি এমআইসিতে পাস হওয়ার পরে, এটি অনুমোদনের জন্য কেএমসি হাউসে অর্থাৎ পুর অধিবেশনে রাখা হবে। এর পরে, জল সরবরাহ বিভাগ প্রকল্পের জন্য একটি টেন্ডার ডাকবে। প্রকল্পটিকে অগ্রাধিকারে রাখা হয়েছে, তহবিলের ব্যবস্থাও শুরু হয়েছে।

পুরসভা আর্থিক তহবিলের ঘাটতির মধ্য দিয়ে গেলেও মার্কাস স্কোয়ারের প্রকল্পটিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হযচ্ছে। কলেজ স্ট্রিট, বউবাজার, সিআর অ্যাভিনিউ, জোড়াসাঁকো, এম জি রোড, কেশব সেন স্ট্রিট এবং আমহার্স্ট স্ট্রিট সহ মধ্য কলকাতায় বসবাসকারী হাজার হাজার মানুষ মহম্মদ আলি পার্কের জলাধারের উপর নির্ভর করেন।

প্রস্তাবিত প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় নিয়ে পুরকর্তারা এখনই কোনও হিসেব দিতে পারেননি। তবে দৈনিক প্রায় ৪০ লক্ষ গ্যালন পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহের কথা হচ্ছে নয়া প্রকল্পের মাধ্যমে। কাজ শুরুর পর শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে দু’বছর।

You might also like!