Business

1 year ago

Videocon Loan Case: প্রাক্তন আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক সিইও চান্দা কোচার এবং তার স্বামীর সিবিআই হেফাজত!

Former ICICI Bank CEO Chanda Kochhar and her husband in CBI custody!
Former ICICI Bank CEO Chanda Kochhar and her husband in CBI custody!

 

নিউ দিল্লীঃ ভিডিওকন লোন মামলায় জড়িত থাকার জন্যে শুক্রবার প্রাক্তন আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক সিইও চান্দা কোছার এবং তার স্বামী দীপক কোছারকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। ২০১৮ সালে চান্দা কোছার আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক সিইও পদ ছেড়ে দেন। ভিডিওকন লোন মামলার প্রাথমিক পর্যায় তদন্তে নেমে সিবিআই, ২০০৯ সালের জুন মাস থেকে ২০১১ সালের অক্টোবর মাসের মধ্যে ১৮৭৫ কোটি টাকার মোট ৬টি লোন ভিডিওকন গ্রুপ এবং এর আনুসাঙ্গিক কোম্পানিতে পাশ করিয়ে দেওয়ার হদিশ পায় এবং আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের নির্ধারিত নীতি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনে। 

অভিযোগ ওঠে ভিডিওকন প্রোমোটার ভেনুগোপাল ধুত ২০১২ সালে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের থেকে ৩২৫০ কোটি টাকা নেওয়ার পরেই  নুপাওয়ার (Nupower) - এ  নিয়োগ করে দেন। এই লোন ২০১২ সালে নন পারফর্মিং সম্পদ হিসাবে ঘোষণা করা হয় যার ফলে ব্যাঙ্কের ১৭৩০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ED)কোছার  দম্পতির বিরুদ্ধে "ভিডিওকন গ্রুপ অফ কম্পানির জন্যে বেআইনি ভাবে ১৮৭৫ কোটি টাকার লোন পাশ করিয়ে দেওয়ার" চার্জশিট পেশ করেন। ২০১৯ সালে সিবিআই এফআইআর (FIR)দাখিল করে বলে, অভিযুক্তরা আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের সাথে প্রতারণা করে অন্যদের সাথে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করে বেশ কিছু প্রাইভেট কম্পানিকে  লোন পাইয়ে দিয়েছে। 

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন (PMLA) এর অধিনে থেকে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ইডি দীপক কোছার কে গ্রেফতার করে এবং ২০২১ এর মার্চে ৩ লাখ টাকার ব্যাক্তিগত বন্ডে ছাড়া পান। কোর্ট তার পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করে এবং নির্দেশ দেয় মাসে একবার করে ইডির কাছে হাজিরা দিতে। 

এই কেন্দ্রীয় এজেন্সি ২০১৯ সালে রিপোর্ট পেশ করে উল্লেখ করে যে ২০০৯ সালের ১লা মে, যখন থেকে চান্দা কোছার আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের এর এমডি-সিইও পদে নিজুক্ত হওয়ার পর থেকেই ভিডিওকনকে বেশ কিছু ক্রেডিট ফেসিলিটি প্রদান করা হয়েছিল । লোন পাশ করিয়ে দেওয়ার কমিটির মধ্যে চান্দাও একজন সদস্য ছিলেন এবং তিনি ৩০০ কোটি টাকা ভিডিওকন ইন্টারন্যাশনাল ইলেকট্রনিকস লিমিটেডের নামে এবং ৭৫০ কোটি টাকা ভিডিওকন ইন্ডাস্ট্রির নামে লোন পাশ করিয়ে দেন। সিবিআই যোগ করেন, চান্দা কোছার তার স্বামীর মাধ্যমে লোন পাশ করার জন্য ধুতের থেকে ঘুষ পান। সব মিলিয়ে ২০০৯ সালের জুন মাস থেকে ২০১১ সালের অক্টোবর মাসের মধ্যে মোট ৬ টি বিপুল অঙ্কের লোন ভিডিওকন কম্পানিকে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক প্রদান করে। আরও অভিযোগ আনা হয় যে ধুত, দীপক কোছার এবং তার আত্মীয়দের নিয়ে নির্মিত একটি ফার্মে কোটি টাকা নিয়োগও করেন, ভিডিওকন গ্রুপের ৩২৫০ কোটি টাকার লোন পাশ হওয়ার ঠিক ৬ মাস পরে যা প্রদান করা হয়েছিল ২০১২ সালে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক দ্বারা। ২০১০ সালে ধুত, এনআরপিএল নামক একটি সম্পদের ৬৪ কোটি টাকা নিয়োগ করেন যা দীপক কোছার এবং তার দুজন আত্মীয়দের নিয়ে নির্মিত। আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক থেকে লোন পাওয়ার পরেই তিনি কম্পানির মালিকানা হস্তান্তর করে দেন দীপক কোছারের  একটি সংস্থাকে ৯ লাখ টাকার বিনিময়।

You might also like!