দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বার্ড ফ্লু ভাইরাস হল বিশেষ ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস। এই ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জাকে বলে অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা। এর অনেক রকম প্রজাতি আছে, সবগুলিই যে ভীষণ সংক্রামক বা মানুষের শরীরে ছড়াতে পারে, তেমন নয়। ভারতে আগে যে ধরনের বার্ড ফ্লু ভাইরাস ছড়িয়েছিল, তার নাম এইচ৫এন১ এবং এইচ৭এন৯। আর এখন এইচ৯এন২ প্রজাতির সংক্রমণও ধরা পড়েছে। দেশের কয়েকটি রাজ্যে মৃত পাখিদের নমুনায় এইচ৫এন১ ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের প্রজাতির খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। পাখিরা এই ভাইরাসের বাহক।
আগে মনে করা হত, বার্ড ফ্লু ভাইরাস মানুষের শরীরে ছড়াতে পারে না। কিন্তু ১৯৯৭ সালে হু প্রথম মানুষের শরীরে এই ভাইরাল স্ট্রেন চিহ্নিত করেছিল। মৃত পাখির দেহাবশেষের সংস্পর্শে এসেই মানুষের শরীরে সেই ভাইরাল স্ট্রেন ছড়িয়েছিল বলেই মনে করা হয়েছিল।
চিকিৎসকেরা বলছেন, মানুষের শরীরে ঢুকলে করোনা ভাইরাসের মতোই দ্রুত বিভাজিত হতে পারে অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ভাইরাস। উপসর্গও করোনা সংক্রমণের মতো। জ্বর, শ্বাসকষ্ট, পেটব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। চোখের সংক্রমণও হতে পারে। এই ভাইরাস মানুষের শরীরের শ্বাসযন্ত্রে আগে সংক্রমণ ছড়ায়। তার পর ধীরে ধীরে সারা শরীরে ছড়াতে শুরু করে। চিকিৎসকদের ধারণা, আক্রান্তের থুতু বা লালার মাধ্যমে ভাইরাস সুস্থ মানুষের শরীরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।