দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রিস্টাল প্যালেসের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে সমর্থকদের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে নতুন আশা ও আত্মবিশ্বাস। ১৯৭৭ সাল থেকে দলের সাথে থাকা সমর্থক পল বলছেন, "আমার কাছে এটিই সেরা প্যালেস দল। এখন আমাদের তিনজন খেলোয়াড় আছে যারা নিয়মিত গোল করতে পারে বলে মনে হচ্ছে। আমাদের দিনে আমরা যে কাউকে হারাতে পারি!" এই মন্তব্যে স্পষ্ট, দলটির আক্রমণভাগ বর্তমানে সমর্থকদের আস্থার কেন্দ্রবিন্দুতে।
অ্যান্ডি মনে করেন, দ্বিতীয়ার্ধের পারফরম্যান্সই প্রমাণ করে প্যালেস এই জয়ের যোগ্য ছিল। তাঁর মতে, “প্যালেসের পদমর্যাদার পুরোটাই এখন গ্লাসনারের উপর নির্ভর করা উচিত। তিনি ফুটবলের অন্যতম সেরা ম্যানেজার এবং ক্লাবের উচিত তাঁকে ধরে রাখা।” সমর্থক আদ্রিয়ানও দলের শক্তি নিয়ে আশাবাদী। তিনি বলেন, “ক্রিস্টাল প্যালেস এখন একটি শক্তিশালী দল। কিছু নতুন খেলোয়াড় আনুন, এবং সাবধান থাকুন।” সবচেয়ে বিতর্কিত মন্তব্য এসেছে ইলিয়াসের কাছ থেকে। তাঁর মতে, দলের স্ট্রাইকার জঁ-ফিলিপ মাতেতা হ্যারি কেনের চেয়েও ভালো। তিনি বলেন, “মাতেতা মিড-টেবিল দলের হয়ে দুটি ট্রফি জিতেছে। অন্যদিকে হ্যারি কেন, স্পার্স এবং বায়ার্নে খেলেও প্রতিযোগিতামূলক ট্রফি জেতার তালিকায় বড় ভূমিকা রাখতে পারেননি। তাই, ১৫-২০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের একজন খেলোয়াড়কে ‘মানসম্পন্ন নয়’ বলা ঠিক নয়।” দলের ম্যানেজার অলিভার গ্লাসনারের প্রশংসা করেছেন মাইকও। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, ক্লাবের চেয়ারম্যান স্টিভ প্যারিশ যেন গ্লাসনারকে প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত খেলোয়াড় পেতে সহায়তা করেন। কেস্টার হাস্যরসের ছলে বলেছেন, “উয়েফার রায়, এজে, গুয়েহির ভবিষ্যৎ কিংবা ট্রান্সফার কার্যকলাপের অভাব ভুলে যাও। আসল সমস্যা হলো, আমাদের কি যথেষ্ট বড় ট্রফি ক্যাবিনেট আছে?” নিকও দ্বিতীয়ার্ধের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করে বলেছেন, “আশা করছি সোমবার ইউরোপার সিদ্ধান্ত আমাদের আরও বড় সাফল্য এনে দেবে। মূল দলগুলো ধরে রাখলে কে জানে, এই মৌসুমে তারা কী অর্জন করতে পারবে।”
সবমিলিয়ে, ক্রিস্টাল প্যালেসের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স সমর্থকদের মনে তৈরি করেছে এক নবজাগরণ। গোলের ধারাবাহিকতা, গ্লাসনারের কৌশল এবং সম্ভাব্য নতুন সংযোজন—সবকিছু মিলিয়ে সমর্থকরা বিশ্বাস করছেন, এই মৌসুমে প্যালেস হতে পারে ইংলিশ ফুটবলের বড় চমক।