দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ভাই বোনের খুনসুটি আর সুন্দর সম্পর্কের উৎযাপনের অন্য নাম ভাই ফোঁটা। তবে দেশে ও রাজ্য ভেদে ভাই ফোঁটাকে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়।যেমন ধরে নিন আমাদের পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গ সহ প্রতিবেশী রাজ্য সিকিম এবং নেপালের মতো হিন্দু দেশে ভাইফোটা কে ভাই টিকা, ভাই দুজ বলা হয়, কিন্তু ভাইফোঁটার কেন পালন করা হয়।
এবছর ভাই ফোঁটা পালিত হতে চলেছে ১৪ নভেম্বর ২০২৩ (মঙ্গলবার) দ্বিতীয়া মুহুর্ত শুরু ১৪ নভেম্বর ২০২৩ দুপুর ২.৩৬ টা এবং দ্বিতীয়া মুহুর্ত শেষ হবে ১৫ নভেম্বর ২০২৩ দুপুর ১.৪৭ টা।
কাহিনী অনুসারে শ্রীকৃষ্ণ ও সুভদ্রা এবং যমুনা ও যম এর কাহিনী অনুকরণে পৃথিবীবাসী হিন্দু ধর্মের মানুষেরা ভাই-বোন এদের বন্ধন এর পবিত্র উৎসব ভাইফোঁটা পালন করে। তবে শ্রীকৃষ্ণ ও সুভদ্রার তুলনায় যম ও যমুনার তুলনামূলকভাবে বেশি গুরুত্ব পাওয়া যায়, ও যমুনার ভাইফোঁটার কাহিনীতে যমুনাকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুসারে প্রতি বছর কার্তিক মাসের দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ ভাতৃদ্বিতীয়ার দিন যমুনার কাছ থেকে ভাইফোঁটা নেওয়ার জন্য যম যমুনার বাড়িতে আসেন।
তাছাড়া যম পুরীর মৃত্যুর দেবতা তিনি পৃথিবী থেকে জীবের প্রাণ হরণ করে নিয়ে যান। তাই ভাতৃদ্বিতীয়ার দিন বোনেরা ভাইদের কপালে ভাইফোঁটা দিয়ে ভাই ফোটার মন্ত্র পড়ে এই বলে যে,
“ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা,
যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা।
যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা,
আমি দিই আমার ভাইকে ফোঁটা॥
যমুনার হাতে ফোঁটা খেয়ে যম হল অমর।
আমার হাতে ফোঁটা খেয়ে আমার ভাই হোক অমর॥”
ভাইফোঁটার মধ্যে তাৎপর্য এইযে ভাইফোঁটার দিন যম যমুনার বাড়ি ভাইফোঁটা নিতে আসে। তখন পৃথিবীতে বসবাসকারী বোনেরা তাদের ভাইদের মঙ্গলকামনায় যমের দুয়ারে কাঁটা দিয়ে দেয়। যাতে করে যমরাজ যমলোকে জীবকুল থেকে ভাইদের প্রাণ হরণ করে নিয়ে যেতে না পারে।এভাবেই বহুদিন ধরে বোনেরা তাদের দাদা ও ভাইদের মঙ্গলকামনায় ভাতৃদ্বিতীয়ার দিন যম দুয়ারে কাঁটা বিছিয়ে ভাইদের প্রান নিয়ে যেতে না পারে তার জন্য যম দুয়ারে যমপুরীর প্রবেশ দ্বার বন্ধ করে দেয়।এই বছরের কবে ভাই ফোঁটা? জেনে নিন কেনাকাটার পাশাপাশি পূজার শুভ সময় ও মুহূর্ত। এছাড়াও ভাই ফোঁটা পুজার তাৎপর্য, পূজা বিধি এবং এই সময় কি কাজ করা উচিৎ ও কি না করা উচিৎ জানুন সবকিছু।