Country

10 hours ago

PM Modi : উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ঐক্য ফুটল ভোটকেন্দ্রে মোদি ও গড়করি-র দৃশ্যে

Unity emerges in Vice Presidential election as Modi and Gadkari appear at polling booths
Unity emerges in Vice Presidential election as Modi and Gadkari appear at polling booths

 

দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের ১৪তম উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে সংসদে শুরু হয়। এই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে এনডিএ প্রার্থী সিপি রাধাকৃষ্ণণ এবং ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী সুদর্শন রেড্ডির মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলে। প্রথম ভোট দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপর একে একে ভোট দিতে দেখা যায় কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে, জেপি নাড্ডা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গড়করি। ভোটকেন্দ্রে চমকপ্রদ মুহূর্ত দেখা যায়, যখন কংগ্রেস সভাপতি খাড়গে হাত ধরাধরি করে গড়করির সঙ্গে ভোট দিতে আসেন। এই একাত্মতার দৃশ্য ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে এবং মিডিয়ায় সরগরম হয়ে উঠেছে।

প্রধানমন্ত্রীর ভোট দেওয়ার পরই দুই বরিষ্ঠ নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে ও নীতীন গড়করি একে অপরের হাত ধরে খোশ মেজাজে গল্প করতে করতে সংসদে প্রবেশ করেন। এই ছবি সামনে আসার পর বিজেপি পক্ষ থেকে সরাসরি কোনো প্রতিক্রিয়া না এলেও কংগ্রেস তা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। কংগ্রেস শিবিরের মুখপাত্র অখিলেশ প্রতাপ সিং মন্তব্য করেছেন, “এটাই আসল গণতন্ত্রের ছবি। কখনও প্রধানমন্ত্রী মোদিকে দেখেছেন কোনো বিরোধী নেতার হাত ধরে হাঁটতে? উনি সর্বদা রেগে থাকেন এবং কারও সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজনবোধ করেন না।” একই সঙ্গে শাসক-বিরোধী ঐক্যের আরেকটি ছবি ধরা পড়েছে অখিলেশ যাদব ও গিরিরাজ সিংয়ের মধ্যেও। সংসদে দুই প্রতিদ্বন্দ্বীকে খোশ মেজাজে গল্প করতে দেখা গেছে।

উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই স্বাস্থ্যের কারণ দেখিয়ে উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন জগদীপ ধনকড়। এর ঠিক ৫০ দিন পর মঙ্গলবার তাঁর উত্তরসূরি বাছতে শুরু হয়েছে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন। বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণের পর রাতেই ফলাফল প্রকাশ করা হবে। এই নির্বাচনে রয়েছে জটিল অঙ্কের খেলা। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেন সংসদের দুই কক্ষের সাংসদরা। জগদীপ ধনকড়ের সময় লোকসভায় বিজেপির একার ৩০২ সাংসদ ছিল। তারপর শরিকদের সমর্থন ছিল। রাজ্যসভাতেও অনেকটাই এগিয়ে ছিল এনডিএ। এবার বিজেপির ২৩৫ জন সাংসদ। ফলে নির্ভর করতে হচ্ছে নীতীশ কুমার, চন্দ্রবাবু নায়ডু, চিরাগ পাসোয়ানদের ওপর। এছাড়াও ছোট ছোট শরিকদের কাছে সমর্থনের জন্য হাত পাততে হচ্ছে। এনডিএ-র সংখ্যা বলে শাসকদল এগিয়ে থাকলেও ভোট কাটাকাটির আশঙ্কা রয়েছে।

অন্যদিকে ইন্ডিয়া জোট অনেক বেশি শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ। গতবার লোকসভায় কংগ্রেসের ছিল ৫৪টি আসন। এবার বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ। আবার তৃণমূল বা ডিএমকে, সমাজবাদী পার্টির শক্তিও দ্বিগুণ হয়েছে। কিন্তু ভোট যেহেতু গোপন ব্যালটে হবে, তাই অনেক সাংসদই ‘ক্রস ভোট’ করতে পারে বলে আশঙ্কা। তাই আগে থেকেই সতর্ক দু’পক্ষ। যেহেতু দক্ষিণী আবেগকে হাতিয়ার করে দু’পক্ষই দক্ষিণ ভারতীয়কে প্রার্থী করেছে, তাই এবার এনডিএ প্রার্থীর জয় মসৃণ হবে না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক কারবারিরা।

You might also like!