দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ প্রাচীন প্রথা অনুযায়ী মন্দির চত্বরেই রয়েছে পবিত্র মায়ের পুষ্করিণী। সেখান থেকেই বিজয়া দশমীর পরের শুক্রবারে সেই পুষ্করিণী থেকে মায়ের কাঠামো তুলে এনে ধুমধামের সঙ্গে পুজো করা হয়।এরপরেই মায়ের কাঠামোতে পুজো করে মূর্তি গড়ার কাজ শুরু হয় মন্দিরেই।
প্রসঙ্গত, ঐতিহ্যবাহী বোল্লা রক্ষাকালীর কাঠামো পুজোর মধ্য দিয়ে শুক্রবার পুজোর নির্ঘণ্ট শুরু হল। শুধুমাত্র দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তথা উত্তরবঙ্গ সহ পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশ থেকেও বহু ভক্ত বোল্লা মেলাকে কেন্দ্র করে হাজির হয়ে থাকেন প্রতি বছরই। এদিন মন্দির চত্বরে থাকা পুষ্করিণী থেকে কাঠামো তুলে তা পুজো করা হয়।
শতাব্দী প্রাচীন বোল্লা কালী পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ল শুক্রবার সকালেই।প্রত্যেক বছরের মতো এবারও বিজয়া দশমীর পরের শুক্রবারে মায়ের কাঠামো পুজো করা হল। সকাল থেকেই বহু ভক্তবৃন্দদের ঢল মন্দির প্রাঙ্গনে।এদিকে কাঠামো পুজো দেখতে দূরদূরান্ত থেকে সাধারণ মানুষ ছুটে আসে বোল্লা মন্দির চত্বরে৷ দুধ, ঘি দিয়ে কাঠামো ধুয়ে শুরু হয় কাঠামো পুজো।এদিন বোল্লা রক্ষাকালীর কাঠামো পুজো অনুষ্ঠানের উপস্থিত ছিলেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।
উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গের মধ্যে অন্যতম বৃহৎ এবং প্রাচীন এই বোল্লা রক্ষা কালীর পুজো। পুজোর পাশাপাশি চারদিন মেলা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে লক্ষ লক্ষ ভক্ত সমাগম হয়। এবার ১ ডিসেম্বর বোল্লা রক্ষাকালী মায়ের পুজো অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে এদিন বোল্লায় হল মায়ের কাঠামো পুজো৷ কাঠামো পুজোর পরই শুরু হবে মায়ের প্রতিমা তৈরির কাজ৷
পুজো কমিটির সহ সভাপতি সুব্রত মন্ডল বলেন, “আমাদের জেলার ঐতিহ্য বোল্লা কালী মাতার কাঠামো পুজো এদিন নিয়ম নিষ্ঠা সহকারে হয়েছে।প্রথা অনুসারে মন্দিরেই মায়ের মূর্তি গড়া হয়।কাঠামো পুজোকে ঘিরে প্রচুর ভক্তরা আসেন।প্রাচীন নিয়ম মেনে মায়ের কাঠামো পুজো করা হয়।”
শুক্রবার থেকে শুরু হয় এবং সোমবারে মাতৃ মূর্তি নিরঞ্জন হয় মন্দির সংলগ্ন ঘাট বাঁধানো পুকুরে। সব ধর্মের মানুষের সমাগমে প্রতি বছর এই মেলা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মহা মিলন ক্ষেত্রে পরিণত হয়ে থাকে বলে সমগ্র উত্তরবঙ্গ ও বাইরের রাজ্য এমনকি বাংলাদেশ থেকেও ভক্তরা এই পুজোতে অংশ নিতে ছুটে আসেন।