Entertainment

2 years ago

জানেন কি ? কে এই বিশ্বে সবথেকে চর্চিত লেবানিস পর্ণ স্টার মিয়া খালিফা

Today you will be introduced to the world's most popular Lebanese porn star, Mia Khalifa
Today you will be introduced to the world's most popular Lebanese porn star, Mia Khalifa

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ আপাতদৃষ্টিতে মিয়া খালিফা(Mia Khalifa)  হলেন একজন ২১ বছর বয়সী সচ্ছল ব্যক্তিত্ব । তিনি শিক্ষিত, এবং তিনি যে কাজের সাথে যুক্ত সেখান তিনি যথেষ্ট সফলতার সাথে কাজ করছেন যার পরিবর্তে তিনি বেশ ভালো রকম উপার্জনও করছেন। মেয়ের এই রকম সাফল্যে যে কোনো বাবা-মা-এর গর্বিত হওয়াটাই স্বাভাবিক কিন্তু মিয়ার পরিবার তার কাজে মোটেই গর্বিত নয়। মিয়ার পরিবারের কাছে মিয়ার কাজ অত্যন্ত লজ্জাজনক, যে কারণে তিনি তার এই ২৭ বছরের জীবনে বেশ কিছু প্রতিকূল পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন। মিয়া খালিফা হলেন একজন পর্ণ স্টার। শুধুমাত্র পর্ণ স্টারই নন, মিয়া খালিফা হলেন বর্তমানে সবথেকে বিখ্যাত পর্ণ অভিনেত্রী। একটি মার্কিন পেজ “নিউজ উইক” এর প্রতিবেদন অনুসারে, Pornhub.com নামক একটি পর্ণ ওয়েবসাইট, যেটি সারা বিশ্বে ৭১তম “সর্বাধিক পরিদর্শিত”(Most visited) ওয়েবসাইট যেখানে সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিয়া। প্রতিদিন সারা বিশ্ব জুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ মিয়া খালিফার মুখ ও শরীর নিয়ে চর্চা করেন।


ছবি সৌজন্যে : The Indian Express

মিয়ার জন্ম বেইরুট(Beirut) এ। মিয়ার যখন ১০ বছর বয়স তখন তিনি তার পরিবারের সাথে মেরিল্যান্ডে একটি মন্টগোমারি কাউন্টিতে স্থানান্তরিত হন। এল পাসো তে টেক্সাস বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে তিনি ইতিহাসে বি.এ পাশ করেন। এরপর তিনি মাইয়ামিতে তার সমবয়সী আরও চার বন্ধু এবং তাদের পরিবারের সাথে বসবাস করতেন। লেবানিজ বংশভুত পরিবারের কাছে নিজের জীবনযাপনের জন্য মিয়ার পর্ণ ফিল্মে অভিনয়ের সিধান্ত অবশ্যই গ্রহনযোগ্য ছিল না। সাম্প্রতিক সময় মিয়ার কেরিয়ারের পছন্দ এবং তার লেবানিস পরিবারের সাথে মতবিরোধ, ইন্টারনেটে চর্চায় উঠে এসেছে যা মিয়ার কাছে কাঙ্খিত নয় লেবানানের রাজনীতিতে মিয়া খুব একটা আগ্রহ রাখেন না, কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়াতেও তার লেবানিস ঐতিহ্যের প্রতিফলন ঘটাতে সে লজ্জা পান না। তার বাম হাতে লেবাননের জাতীয় সঙ্গীতের শুরুর লাইনের একটি ট্যাটু আছে যার বাংলা অনুবাদ করলে বোঝায়, “আমরা সবাই! আমাদের দেশের, আমাদের পতাকা ও গৌরবের জন্য” এবং তার ডান হাতের কব্জিতে লেবানিস ফোর্স ক্রসের ট্যাটু আছে যা সিরিয়ার(Syria) বাশার আসাদ (Bashar Assad) সরকারের  বিরোধী লেবাননের রক্ষণশীল খ্রিস্টান রাজনৈতিক দলের প্রতীক। মিয়ার এই দুই ট্যাটু লেবাননে অনেক বিতর্ক সৃষ্ট করেছে। সমালোচকদের মতে, শরীরে লেবানানের জাতীয় সঙ্গিত লিখে পর্ণ ফিল্মে অভিনয় করে মিয়া তার দেশকে লজ্জিত করছে। মিয়া বলেন, “ওনারা লজ্জিত যেহেতু আমি ওনাদের দাবী করছি, আমার কাছে উপায় ছিল অন্য কোথাও জন্মগ্রহণের!”। 


ছবি সৌজন্যে : jagran

লেবানান একটি ৫০ লক্ষ জনসংখ্যার ছোটো দেশ হলেও মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে উদারপন্থী দেশগুলোর মধ্যে একটি এবং এই অঞ্চলের যেকোনো জাতির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধর্মীয় বৈচিত্র্য রয়েছে। কিন্তু যেহেতু এটি ১৯৭৫ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত একটি রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধে আটকে গিয়েছিল, যার প্রতিফলন আজকের মেরুকৃত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সুস্পষ্ট। মিয়া অত্যন্ত হতাশ হয়েছিলেন যখন পর্ণ ফিল্মে অভিনয়ের সিধান্তের জন্য তার পরিবার তার সাথে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছিল। আবার তাও যদি হয় জাতী বিরোধী পেশা, তাহলে তো কোনো কথাই নেই। এই ব্যপারে মিয়া বলেন, “আমি কখনই আমার পরিবারকে এই বিতর্কে জড়াতে চাইনি। এ ব্যাপারে আমি নিজেকে দোষ দি যে আমার পরিবার অনিচ্ছাকৃতভাবে এসবে জড়িয়ে পড়েছে। এটি আমার উদ্দেশ্য ছিলনা"।


 ছবি সৌজন্যে : DNA India

লেবাননে পর্নোগ্রাফি নিয়ে এই বিতর্কে অনেক পন্ডিত এবং ভাষ্যকাররা খলিফাকে একটি আলোচ্য বিষয় হিসাবে তুলে ধরেছিলেন। বেশ কয়েকটি সংবাদপত্র খলিফা সম্পর্কে প্রতিকূল নিবন্ধ ছাপায়। এই নিয়ে তিনি টুইটারে বেশ কিছু প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন বিভিন্ন সময়। একজন ব্রিটিশ-লেবানিস লেখক নাসরি আতাল্লাহ(Nasri Atallah), মিয়ার সপক্ষে যুক্তি দিয়ে একটি ফেসবুক পোস্টে বলেন, “মিয়া একজন মহিলা হিসাবে তিনি তার শরীরের সাথে যা খুশি করতে পারেন”। 

সোশ্যাল মিডিয়ায় মিয়াকে কেন্দ্র করে ঘৃণ্য পোস্ট থেকে শুরু করে মৃত্যু হুমকি, কোনোটাই বাকি থাকেনি, আরও আশ্চর্যের বিষয় হলো বেশিরভাগ এই হুমকিমূলক পোষ্ট আসতো তার নিজের দেশের লোকেদের কাছ থেকে যারা তার ছবি দেখেছে। মিয়া বলেন, সোশ্যাল মিডিয়াতে তার যে সমর্থন আসে তার বেশিরভাগই আসে মিশর থেকে। 


ছবি সৌজন্যে : IMDb

মিয়া বলেছেন যে তিনি চিরকাল পর্ণ ইন্ডাস্ট্রিতে থাকার সিদ্ধান্ত নেন নি, তিনি বলেছেন, “এটা এমন কিছুই নয় যেটা থেকে আমি একটা কেরিয়ার তৈরি করব, কিন্তু আমি এটা চালিয়ে যাব যতক্ষণ না আমি আর এটা করতে পারব না।“ তিনি শুধু চান সংবাদমাধ্যম যেন তার পরিবারের থেকে দূরে থাকে।

You might also like!