দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: রাজনীতি, শাসক-বিরোধী দ্বন্দ্ব চলবে চিরকাল। কিন্তু ফ্রিতে মটন বিরিয়ানি! এমন সুযোগ তো রোজ পাওয়া যায় না। তাই মঞ্চে বক্তৃতার প্রতি তেমন আগ্রহ না থাকলেও, বিনামূল্যের বিরিয়ানির খবর ছড়াতেই ভিড় উপচে পড়ে জনসভায়। একপ্রকার লুঠের পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুরো এলাকা জুড়ে নেমে আসে বিশৃঙ্খলা। মটন বিরিয়ানি সামলাতে হিমশিম খেতে হয় স্বেচ্ছাসেবকদের। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে, ভাষণের বদলে জনতার মাথায় উঠে যায় শুধু বিরিয়ানির থালা!
মঙ্গলবার বিহারের কিষানগঞ্জে ছিল জনসূরজ পার্টির জনসভা। যেখানে প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন দলের প্রতিষ্ঠাতা খোদ প্রশান্ত কিশোর। তবে সভা চলাকালীন খুব একটা ভিড় দেখা যায়নি সেখানে। কার্যত ফাঁকা মাঠে কোনওমতে জনসভা শেষ করেন জনসূরজ পার্টির নেতৃত্বরা। এর ঠিক পরই দেখা যায় ভিন্ন ছবি, সভাস্থল থেকে কিছুটা দূরে খাবারের ব্যবস্থা করেছিল কর্তৃপক্ষ। কাতারে কাতারে মানুষ বিরিয়ানি খেতে উপস্থিত হন সেখানে। খাবার বিলি করতে কার্যত হিমশিম খেতে কর্মীদের। মুহূর্তে হাতের বাইরে চলে যায় পরিস্থিতি।মটন বিরিয়ানি খেতে পদপিষ্টের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয় সেখানে। পাঁচিলের উপর উঠে পড়েন এলাকাবাসীরা। শুরু হয় মারামাতি-হাতাহাতি। ঠাসাঠাসি ভিড়ে মুহূর্তে বেলাগাম হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ভিড় সামাল দিতে গেটে তালা দেওয়া হলে পাঁচিল টপকে সেখানে ঢুকে পড়েন মানুষজন। গোটা ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে, বিরিয়ানি বিলির জায়গায় বিরাট ভিড় জমেছে। বহু লোকজন দাঁড়িয়ে রয়েছেন পাঁচিলের উপর। কেউ কেউ পাঁচিল টপকে ওপারে গিয়ে বিরিয়ানি নিয়ে আসছেন।
চলতি বছরের শেষে বিহারে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচনে। এবারের নির্বাচনে বিহারে নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে প্রশান্ত কিশোরের জনসূরজ পার্টি। প্রশান্ত কিশোরের এই রাজনৈতিক দল বিহারের শাসকদল জেডিইউ, বিজেপির পাশাপাশি আরজেডিরও মাথা ব্যাথার কারণ। রাজ্যজুড়ে জোরকদমে প্রচারও শুরু করে দিয়েছে তারা। এবার সেখানে দেখা গেল এই দৃশ্য।