বিষয়টা কী রকম? শিক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, ইউজিসি নেটের যে সব কোয়েশ্চেন পেপার ফাঁস হয়ে যায়, তার অনেকগুলিই পুরো প্রশ্নপত্র নয়, আংশিক। সেই আংশিক প্রশ্নপত্রই ডার্ক ওয়েব এবং টেলিগ্রামে ফাঁস করে দেয় প্রতারকরা। সেখানে এর দাম ওঠে লক্ষ লক্ষ টাকা। সূত্রের খবর, বেশ ক’লক্ষ টাকা খরচ করে লোকে আংশিক কোয়েশ্চেন পেপার কিনবে কেন — এই প্রশ্নটা যাতে না ওঠে, তাই আসল প্রশ্নের সঙ্গে ভেজালও মিশিয়ে দেয় প্রতারকরা।
অর্থাৎ টেলিগ্রাম বা ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে যারা প্রশ্ন কিনেছিল, তারা আসল প্রশ্নের পাশাপাশি প্রতারকদের তৈরি করা ভেজাল প্রশ্নও পায়। এই বিচারে একদিকে লিক, অন্যদিকে ভেজাল প্রশ্ন মেশানো — এই দুই বিষয়কে মিলিয়ে ‘ডাবল ফ্রড’ বলছেন অনুসন্ধানকারীরা। যদিও কিছু সাবজেক্টের প্রশ্ন পুরোপুরিই বাইরে চলে আসে বলেও মনে করছেন তাঁরা।
এরই মধ্যে শনিবার রাতে উত্তরপ্রদেশের খুশিনগরে নেট-কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন ব্যক্তিকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআইয়ের বিশেষ টিম। তার মধ্যে দু’জন স্থানীয় কোচিং সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত। নেটের কোচিং দেওয়া হতো ওই সেন্টারে। অন্যজন এক ছাত্র। তাঁর বিরুদ্ধেও রয়েছে প্রশ্নফাঁস চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগ। ওই পড়ুয়াও এ বার নেট-এ বসেন। তাঁকে খুশিনগরের বাড়ি থেকে শনিবার রাতে থানায় তুলে নিয়ে যায় সিবিআই। আটক করে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। যদিও শেষ পর্যন্ত তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না, সেটা স্পষ্ট নয়।