নয়াদিল্লি, ২৯ জুন : রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর মাসিক বেতার অনুষ্ঠান মন কি বাত এ নিজের চিন্তাভাবনা দেশ-বিদেশের মানুষের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন। এটি ছিল তাঁর মন কি বাত অনুষ্ঠানের ১২৩-তম পর্ব।এদিন তিনি বলেন, আপনারা সবাই এই সময় যোগের শক্তি এবং ‘আন্তর্জাতিক যোগ দিবস’-এর স্মৃতিতে পূর্ণ হয়ে রয়েছেন। এইবারও ২১ জুন দেশ ও বিশ্বের কোটি-কোটি মানুষ ‘আন্তর্জাতিক যোগ দিবস’-এর উদযাপনে অংশ নিয়েছেন। আপনাদের মনে থাকবে, দশ বছর আগে এটা শুরু হয়েছিল। এখন দশ বছরে এই প্রক্রিয়া প্রত্যেক বছর আগের থেকে আরও জাঁকজমকপূর্ণ হয়ে উঠছে। এটা এই ব্যাপারেরও ঈঙ্গিত যে আরও বেশি-বেশি মানুষ নিজেদের দৈনন্দিন জীবনে যোগকে গ্রহণ করছেন। আমরা এবার ‘যোগ দিবস’-এর কতই না আকর্ষণীয় ছবি দেখেছি। বিশাখাপত্তনমের সমুদ্রতটে তিন লক্ষ মানুষ একসঙ্গে যোগাভ্যাস করেছেন। বিশাখাপত্তনম থেকেই আরও এক অদ্ভূত দৃশ্য সামনে এসেছে, দু’ হাজারেরও বেশি আদিবাসী শিক্ষার্থী ১০৮ মিনিট ধরে ১০৮ বার সূর্য নমস্কার করেছে। ভেবে দেখুন, কতটা অনুশাসন আর কতটা সমর্পণ মিশে ছিল এর সঙ্গে। আমাদের নৌবাহিনীর জাহাজেও যোগাভ্যাসের চমৎকার দৃশ্য দেখা গিয়েছে। তেলেঙ্গানায় তিন হাজার দিব্যাঙ্গ সাথী একসঙ্গে যোগ শিবিরে অংশ নেয়। তাঁরা দেখিয়েছেন যে যোগ কীভাবে সশক্তিকরণের মাধ্যমও হয়ে উঠতে পারে। দিল্লির মানুষ যোগকে স্বচ্ছ যমুনা তৈরির সঙ্কল্পের সঙ্গে যুক্ত করেছেন এবং যমুনার তীরে গিয়ে যোগাভ্যাস করেছেন। জম্মু-কাশ্মীরে চেনাব সেতু যা পৃথিবীর সবথেকে উঁচু রেলসেতু, সেখানেও মানুষ যোগাভ্যাস করেছেন। হিমালয়ের তুষারাবৃত শিখর সেখানেও আইটিবিপি-র জওয়ানদের যোগাভ্যাস দেখা গিয়েছে, সাহস আর সাধনা চলেছে একসঙ্গে। গুজরাতের মানুষও এক নতুন ইতিহাস রচনা করেছেন। ভডনগরে দু হাজার একশো একুশ জন মানুষ একসঙ্গে ভুজঙ্গাসন করেছেন এবং নতুন রেকর্ড তৈরি করেছেন। নিউইয়র্ক, লণ্ডন, টোকিও, প্যারিস – দুনিয়ার সব বড় শহর থেকে যোগাভ্যাসের ছবি এসেছে আর প্রত্যেকটি ছবিতে একটি বৈশিষ্ট ছিল– শান্তি, স্থিরতা আর ভারসাম্য। এবারের থিমও খুব বিশিষ্ট ছিল – যোগা ফর ওয়ান আর্থ, ওয়ান হেলথ অর্থাৎ ‘এক পৃথিবী, এক স্বাস্থ্য’। এটা কেবল একটা স্লোগান নয়, এ একটা অভিমুখ যা আমাদের ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’-এর অনুভব এনে দেয়। আমার বিশ্বাস, এবারের যোগ দিবসের জাঁকজমক আরও বেশি-বেশি মানুষকে যোগকে গ্রহণ করার জন্য নিশ্চিতভাবে অনুপ্রাণিত করবে।