দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ 'ওল' শুনলেই অনেক বাঙালি নাক কুচকান। কিন্তু ওলের উপকারিতা অশেষ। ইতিহাস বলছে, বাঙালি হেঁশেলে ওলের প্রচলন দীর্ঘ দিন ধরে। ডালনা, তরকারি বা স্রেফ সিদ্ধ ওল নারকেল সর্ষে দিয়ে মাখা। চিংড়ি মাছ দিয়ে ওলের যে কোনও পদ অত্যন্ত উপাদেয়। ওল খেয়ো না, ধরবে গলা’-এই প্রবাদ ভুলে খেতে হবে এই কন্দ সবজি। কারণ এর উপকারিতার শেষ নেই। সম্প্রতি ওলের উপকারিতা নিয়ে পুষ্টিবিদেরা প্রচুর তথ্য দিচ্ছেন। হিন্দিতে জিমিকন্দ এবং ইংরেজিতে এলিফ্যান্টস ফুট নামে পরিচিত এই সবজি খাওয়া হয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ, দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়াতেও।
পুষ্টিবিদদের মতে মস্তিষ্কের কার্যকারিতার জন্য ওল খুবই উপকারী। কারণ মাটির তলার এই কন্দ সবজিতে প্রচুর পরিমাণে আছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাস। এই উপাদানগুলির জন্য ওল খেলে স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ হয়। মনসংযোগ বাড়ে যে কোনও বিষয়ে। ফলে ছাত্রছাত্রীদের জন্য খুবই উপকারী। তাদের ডায়েটে রাখা দরকার এই সবজি। শরীরে হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে ওল। তাই মহিলাদের জন্য এই সবজি খুবই প্রয়োজনীয়। ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা শরীরে বাড়িয়ে তোলে ওল। ভিটামিন বি-৬ সমৃদ্ধ এই সবজি পিএমএস সিন্ড্রোম সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করে। ওল একদিকে প্রাকৃতিক প্রোবায়োটিক এবং একইসঙ্গে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল। পেটের তথা পরিপাক স্বাস্থ্য ভাল রাখে এই সবজি। শরীর থেকে টক্সিন জাতীয় পদার্থ সরিয়ে সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণ করে।
তবে পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, অন্তঃসত্বা মহিলা ও যে মহিলারা সন্তানকে মাতৃদুগ্ধ পান করেন,তাদের ওল এড়িয়ে চলাই ভালো।