
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: এসআইআর-এর জন্য নির্দিষ্ট মাত্র ষাট দিনের সময়কাল যেন কর্মীদের জীবন থেকে ব্যক্তিগত সময়টুকুও কেড়ে নিচ্ছে। শারীরিক অসুস্থতা কিংবা জীবনের বিশেষ কোনো আয়োজন— সব কিছুর ওপরই ভোটার তালিকার এই নিবিড় সংশোধনের বিপুল চাপ প্রভাব ফেলছে। বিএলও-দের কাছে নির্ধারিত লক্ষ্য হলো নভেম্বরের শেষ নাগাদ শুমারির ফর্মগুলি ডিজিটাইজ করার কাজ শেষ করা। কিন্তু এখনও প্রচুর সংখ্যক ফর্মের কাজ বাকি। ফলস্বরূপ, সবাই সময় নষ্ট না করে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করার জন্য প্রয়াস চালাচ্ছেন। মুর্শিদাবাদের ডোমকলের ভাতশালার এক বিয়েবাড়িতে গিয়ে দেখা গেল এমন ব্যতিক্রমী চিত্র। বাড়িভর্তি অতিথি, তার মাঝে ঘরবন্দি নববিবাহিত বর মোস্তাক আহমেদ। রাগ, অভিমান বা অন্য কোনও কারণে নয়। কর্তব্যবোধ আর কাজের চাপে নিজের বউভাতেও একলা ঘরে বসে এসআইআর ফর্মের ডাটা আপলোডের কাজ করতে হচ্ছে তাঁকে! আসলে নির্বাচন কমিশনের নির্দিষ্ট সময়সীমা মেনেই হাতের একগুচ্ছ কাজ শেষ করতে এত তাড়া।
জানা গিয়েছে, বিএলও তথা প্রাথমিকের শিক্ষক মোস্তাক আহমেদের বাড়ি ডোমকলের ভাতশালায় হলেও তাঁর কাজের জায়গার দূরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার। সেখানে ইসলামপুরের আনন্দনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তিনি। তাঁর অধীনে রয়েছে ৭৭৪ জন ভোটারের এনুমারেশান ফর্ম বিতরণ, সংগ্রহ ও ডাটা আপলোডের দায়িত্ব। গোটা প্রক্রিয়া শেষ করার জন্য হাতে সময় খুবই কম। তাই বউভাতের অনুষ্ঠানেও কাজ করে গেলেন মোস্তাক আহমেদ। তাঁর কথায়, “কাজটা নিখুঁতভাবে করতে গিয়ে এটা করতেই হচ্ছে, উপায় নেই। আমার কাছে ফর্ম জমা ও আপলোডের কাজ হয়েছে মাত্র ৪০ শতাংশ। হাতে সময় কম, তাই আজকের দিনেও আমাকে এনুমেরেশান ফর্ম আপলোড করতে হচ্ছে।”