দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ সোমবার মাঝরাতে শহরে এসেছেন ইডি-র ডিরেক্টর রাহুল নবীন।মঙ্গলবার দুপুরে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দপ্তরে হাই প্রোফাইল বৈঠকে বসেন আধিকারিকরা।প্রসঙ্গত, সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকরা আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই অপরাধীদের ধরতে যথেষ্ট তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর সে কারনেই এই বিশেষ বৈঠক বলেই মনে করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, রাহুল নবীন ছাড়া বৈঠকে রয়েছেন স্পেশাল ডিরেক্টর সুভাষ আগরওয়াল, অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর বিনোদ শর্মা, রেশন দুর্নীতির তদন্তকারী আধিকারিকরা, সিআইএসএফ আইজি, সিআরপিএফ আইজি বীরেন্দ্র কুমার শর্মা, প্রিন্সিপাল ডিরেক্টর, আয়কর দপ্তর পঙ্কজ কুমার। আলোচনার বিষয় মূলত একটাই, কীভাবে বাগে আনা যাবে শেখ শাহজাহানকে। সেই উপায়ই খুঁজে বের করতে ইডি দপ্তরে এই হাই প্রোফাইল বৈঠক।
রেশন দুর্নীতির তদন্তে গত শুক্রবার সকালে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ‘ঘনিষ্ঠ’ তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে যান ইডি আধিকারিকরা। তাঁর অনুগামীদের হাতে আক্রান্ত হন তিন ইডি আধিকারিক। তার পর থেকে তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তবে গন্ডগোলের মাঝে আচমকা ‘বেপাত্তা’ শাহজাহান। সরবেড়িয়ার আকুঞ্জবেড়িয়ার বাড়িতে নেই তৃণমূল নেতা। প্রাথমিকভাবে ইডির অনুমান, কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশে চলে গিয়েছেন তিনি। আইবি এবং বিএসএফকে সতর্ক করেছে ইডি। পরে বনগাঁতেও ইডির উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। সেখানে বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যের বাড়িতে একই মামলায় তল্লাশি চালাচ্ছিল ইডি। তাঁকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময়ে ইডির কনভয়ে হামলা চলে। এসবের পর শাহজাহানকে বাগে আনতে মরিয়া কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিনের বৈঠক থেকে তার কৌশল ঠিক হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।