West Bengal

11 months ago

Narendrapur student murder:নরেন্দ্রপুর ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় পারিবারিক অশান্তির যোগ, তদন্তে পুলিশ

Mother Varnali Das claimed that Apratim was murdered by his father
Mother Varnali Das claimed that Apratim was murdered by his father

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ নরেন্দ্রপুর ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য। পারিবারিক বিবাদের জেরে খুন হয়েছে অপ্রতিম দাস নামে ইঞ্জিনিয়ারিং এর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। রবিবার বিকেলে তার দেহ ভেসে ওঠে বাড়ির পাশের একটি জলাশয়ে। গত বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ ছিল সে। বৃহস্পতিবার রাতেই পরিবারের সদস্যরা নরেন্দ্রপুর থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ যথাযথ তদন্ত করেনি বলে রবিবার দেহ উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন পরিবারের সদস্যরা এবং স্থানীয়রা। পুলিশের সাথে হাতাহাতি বচসা ও হয়।

পরিবার সূত্রে খবর, অপ্রতিমের বাবা সুমন দাস ও বর্ণালী দাসের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে অশান্তি চলছিল। তার জেরেই অপ্রতিম খুন হয়ে থাকতে পারেন বলেই মনে করছেন পরিবারের অনেকে। এর মধ্যে বর্ণালী ও অপ্রতিমের দিদিমার দাবি, বাবা সুমনই ছেলেকে খুন করেছেন। সুমনের একাধিক বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলেও দাবি করেছেন পড়ুয়ার মা। পাল্টা সুমন ও দাদু সুব্রত দাসের দাবি, ছেলেকে খুন করেছেন মা! দু’পক্ষই থানায় একে অপরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।  স্থানীয় সূত্রের খবর, দাদু-ঠাকুরমা ও মায়ের সঙ্গে থাকতেন ওই ছাত্র। বাবা তাঁদের সঙ্গে থাকেন না। অপ্রতিমের এক ভাইও রয়েছে। সে মাধ্যমিক দিচ্ছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, অপ্রতিমের বাড়ি মহামায়াতলা এলাকায়। ফরতাবাদে তাঁর মামার বাড়ি। মামার বাড়ির পাশেই একটি ক্লাব বিয়েবাড়ি হিসেবে ভাড়া দেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার সেখানে একটি বিয়ের আসর বসেছিল। ওই বিয়েবাড়িতে নিমন্ত্রিত ছিলেন অপ্রতিম। সেই উপলক্ষে মামার বাড়িতে এসেছিলেন তিনি। রাতে বিয়েবাড়িতে গিয়ে খেতেও বসেন। কিন্তু খেতে খেতেই উঠে যান। এর পর থেকেই তাঁর খোঁজ মিলছিল না। প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশ জানিয়েছেন, শৌচাগারে যাওয়ার কথা বলে উঠে যান ওই ছাত্র। কেউ আবার জানান, ফোনে মেসেজ পেয়েই উঠে যান তিনি।

রাতেই নরেন্দ্রপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন অপ্রতিমের পরিবারের সদস্যেরা। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, পুলিশের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। এ দিন পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে আসতেই তাই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। দেহ তুলতে বাধা দেওয়া হয়। পুলিশের সঙ্গে একপ্রস্ত ধস্তাধস্তিও হয় স্থানীয়দের। পরে বিশাল বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।


You might also like!