West Bengal

3 months ago

Rain Forecast: অধরা বর্ষা দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে! জুনেও বৃষ্টির দেখা নেই

Elusive monsoon across South Bengal (File Picture)
Elusive monsoon across South Bengal (File Picture)

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বঙ্গে বর্ষার প্রবেশ করলেও ‘বঞ্চিত’ দক্ষিণ। উত্তরবঙ্গে ভরা বর্ষায় প্রায় বন্যা পরিস্থিতি। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গের উপর বরুণদেবের কৃপাদৃষ্টি নেই। ‘আষাঢ়স্য প্রথম দিবস’ দূরে থাক, ১০ দিন হতে চললেও ছিটেফোঁটা বৃষ্টিতে ভিজেছে কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, মেদিনীপুরে তো সেটুকুও হয়নি। পরিস্থিতি দেখেশুনে আশঙ্কার কথা শোনাচ্ছেন আবহাওয়া (Weather) দপ্তর। বলা হচ্ছে, জুনে বৃষ্টির ঘাটতি হতে চলেছে। আর তাতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে চাষের কাজ। মঙ্গলবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি শুরু হবে বলে পূর্বাভাস। তবে সপ্তাহের মধ্যভাগে ফের বিরতি নেবে বর্ষা। সবমিলিয়ে জুন মাসে বৃষ্টিতে ঘাটতি থেকেই যাবে।

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর (Alipore Weather office) সূত্রে খবর, সেই ৩১ মে থেকে ইসলামপুরে আটকে ছিল দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। এবার তা গতি পেয়েছে। ২১ জুন আনুষ্ঠানিক বর্ষা এসেছে দক্ষিণবঙ্গে। হলদিয়া পর্যন্ত বিস্তার হয়েছে। তার পরের অঞ্চল অবশ্য এখনও তেমন বৃষ্টিতে (Rain) ভেজেনি। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, কলকাতায় (Kolkata) দিনভর আংশিক মেঘলা আকাশ। তবে সকাল থেকে চড়া রোদে কার্যত পুড়ছে মহানগরীর পথঘাট। আগামী চার-পাঁচ দিন হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। বিকেল বা সন্ধ্যের দিকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ খুব হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে সেই সম্ভাবনাও ক্ষীণ। বাতাসে জলীয় বাষ্পের (Humidity) পরিমাণ বেশি থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে বলে জানাচ্ছেন আবহবিদরা।

সোমবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রবিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৭০ থেকে ৯৩ শতাংশ। বৃষ্টি হয়েছে ১৭.৮ মিলিমিটার। উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। বৃহস্পতি ও শুক্রবার দার্জিলিং ও কালিম্পং বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হবে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা এই দুই পার্বত্য জেলাতে। আর তার জন্য বেশ কিছু সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। পাহাড়ি নদীগুলিতে ফের জলস্তর বাড়বে। নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা। শস্য ও কাঁচা বাঁধের ক্ষতি হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে কাঁচা বাড়ি। পার্বত্য এলাকায় ধস নামার আশঙ্কা। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হতে পারে।


You might also like!