West Bengal

6 days ago

Trinamool leader's wife's comments caused stir in Harishchandrapur:পূজার অনুদান নয়, আগে মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হোক: হরিশ্চন্দ্রপুরে তৃণমূল নেতার স্ত্রীর মন্তব্যে চাঞ্চল্য

Trinamool leader's wife's comments caused stir in Harishchandrapur
Trinamool leader's wife's comments caused stir in Harishchandrapur

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ- : সরকারি অনুদান নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই হরিশ্চন্দ্রপুরের একটি পূজা কমিটির খুঁটি পুজো থেকে উঠে এলো এক সাহসী বার্তা। অনুদান বড় কথা নয়, বরং সেই টাকায় আগে মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করুক সরকার—এমনই দাবি জানালেন এলাকার তৃণমূল নেতা সঞ্জীব গুপ্তার স্ত্রী প্রমিলা ভৌমিক। তিনি হরিশ্চন্দ্রপুর ডেলি মার্কেট মহিলা সার্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা।

 খুঁটি পূজার মাধ্যমে পূজার প্রস্তুতি শুরু করে এই পূজা কমিটি, যাদের এবারের থিম "সহজ পাঠ"। আরজিকর হাসপাতালে সাম্প্রতিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই থিমের মাধ্যমে মহিলাদের নিরাপত্তা ও দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে।

প্রমিলা ভৌমিক বলেন, "অনুদান দিলেও পূজা হবে, না দিলেও হবে। কিন্তু তার আগে মহিলাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।" তার এই বক্তব্যের পরেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। বিরোধী দলগুলো তার বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, তিনি রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির কথা সাহসিকতার সঙ্গে তুলে ধরেছেন। বিরোধীদের দাবি, "কোনো মহিলাই আজ রাজ্যে সুরক্ষিত নয়, মেরুদণ্ড সোজা রেখে তিনি যা বলেছেন, তাকে কুর্নিশ জানাই।"

যদিও তার স্বামীর দাবি, প্রমিলা ভৌমিকের মন্তব্যটি তার ব্যক্তিগত মতামত। সঞ্জীব গুপ্তা বলেন, "আরজিকর হাসপাতালের ঘটনার প্রেক্ষিতে একজন মহিলা হিসেবে তিনি এই মন্তব্য করেছেন। কিন্তু রাজ্য সরকারের দেওয়া অনুদান অত্যন্ত জরুরি, কারণ এর সাহায্যেই গ্রামবাংলায় পূজোর আয়োজন হচ্ছে। অনুদান না থাকলে অনেক জায়গায় পুজো বন্ধ হয়ে যেত।"

এই বিতর্কের মধ্যেই হরিশ্চন্দ্রপুর পূজা কমিটি ঘোষণা করেছে, তাদের পূজার মূল উদ্দেশ্য মহিলাদের নিরাপত্তা এবং সমাজে নারীদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা। পূজা কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, "সহজ পাঠ" থিমের মাধ্যমে তারা দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে বার্তা পৌঁছে দেবেন। পূজা কমিটির মহিলারা জানিয়েছেন, "অনুদানের টাকার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মহিলাদের নিরাপত্তা। সরকারকে এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।"

এই মন্তব্যের পর থেকে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে এবং তৃণমূলের অভ্যন্তরে বিভিন্ন মতামত স্পষ্টভাবে প্রকাশ পাচ্ছে।

You might also like!