শিমলা, ২৪ জুলাই : ফের দুর্যোগের আশঙ্কা হিমাচল প্রদেশে। বৃহস্পতিবার আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ২৬ জুলাই থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত রাজ্যের অধিকাংশ জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এর জেরে ইতিমধ্যেই রাজ্যে জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা এদিকে, অতিবৃষ্টির জেরে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত রাজ্যের ৩১১টি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে একটি জাতীয় সড়কও রয়েছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মাণ্ডি জেলায়, যেখানে ১৮৪টি সড়ক বন্ধ। কুল্লুতে ৭১টি ও সিরমৌরে ২২টি সড়কে যান চলাচল বন্ধ। মাণ্ডির কোটলি এলাকায় জাতীয় সড়ক ৭০-ও বন্ধ রয়েছে।
শুধু রাস্তা নয়, রাজ্যের ৬৫টি বিদ্যুৎ ট্রান্সফর্মার ও ২২১টি জলপ্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মাণ্ডিতেই ৪৯টি ট্রান্সফর্মার ও ৬৫টি জলপ্রকল্প বন্ধ। চম্বার তিসা এলাকায় ১০টি ট্রান্সফর্মার বিকল হয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত। চম্বায় ৬০, কাংড়ায় ৫৯ ও সিরমৌরে ৩৪টি জলপ্রকল্প বন্ধ। অপরদিকে, চলতি বছরে বর্ষায় ২০ জুন থেকে এখনও পর্যন্ত হিমাচলে মৃত্যু হয়েছে ১৩৭ জনের। আহত ২২৮, নিখোঁজ ৩৪। মাণ্ডিতে ২৩ জন, কাংড়ায় ২১, চম্বায় ১৬, কুল্লুতে ১৫ ও শিমলায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ৪০১টি বাড়ি, ২৮৭টি দোকান ও ১০৬৬টি গোয়ালও ধ্বংস হয়েছে। ৮২৯টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মাণ্ডি জেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি ৯৫২টি বাড়ির মধ্যে ৩৬৮টি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে।
হিমাচল প্রদেশে রাজ্যে প্রায় ১,৩৮২ কোটি টাকার সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। শুধু পূর্ত দফতরেই ক্ষতির পরিমাণ ৬৫১ কোটি টাকা, আর জল শক্তি বিভাগে ৪৮৮ কোটি টাকা। এই মৌসুমে রাজ্যজুড়ে ইতিমধ্যেই ২৬টি ভূমিধস, ৪২টি বন্যা ও ২৪টি মেঘভাঙা বৃষ্টির ঘটনা ঘটেছে। মাণ্ডি জেলাতেই সবচেয়ে বেশি প্রভাব ১৫টি মেঘভাঙা বৃষ্টি, ১১টি বন্যা ও ৪টি ভূমিধস।