দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ সোমবার আলিপুরের ধনধান্য অডিটোরিয়াম থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন হল ভাঙড় থানার। এবার থেকে কলকাতা পুলিশের আওতায় এল ভাঙড়, উত্তর কাশীপুর, পোলেরহাট ও চন্দনেশ্বর থানা।
ভোটের বাজারে বারবার রক্তাক্ত হয়েছে ভাঙড়। পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকে, বারবার অশান্ত হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। ভোট-হিংসায় শুধু ভাঙড়েই প্রাণ গেছে ৭ জনের। পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন পর্বের শেষ দিন ভাঙড়ে ৩ জন খুন হন। পঞ্চায়েত ভোটের দিনও ভাঙড়ে খুন হন ৩ জন। ভোট গণনার রাতেও বোমা-গুলিতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ভাঙড়। সেদিনও ভাঙড়ে প্রাণ যায় এক সাধারণ মানুষের। এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তুঙ্গে ওঠে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
গত ২৬ জুন কলকাতা পুলিশের একটি অনুষ্ঠানে ভাঙড়কে কলকাতা পুলিশের অন্তর্গত করার জন্য কমিশনার বিনীত গোয়েলকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বারুইপুর পুলিশ জেলার কাশীপুর থানা ভেঙে উত্তর কাশীপুর ও পোলেরহাট এবং ভাঙড় থানা ভেঙে ভাঙড় ও চন্দনেশ্বর থানা গড়ার। নতুন বছরের শুরুতেই ভাঙড়ের চারটি থানা আনুষ্ঠানিকভাবে এল কলকাতা পুলিশের অধীনে।
গত ৩১ ডিসেম্বর এলাকার পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে ভাঙড়ে গেলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল।তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। আগেই ভাঙড়ে তৈরি হয়েছে কলকাতা পুলিশের নতুন ট্রাফিক গার্ড। পাশাপাশি ভাঙড়ের নলমুড়িতে তৈরি করা হয়েছে ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের অফিস।কলকাতা পুলিশের আওতায় আসার পর কি শান্তি ফিরবে ভাঙড়ে? আগামী দিনে এটাই কলকাতা পুলিশের কাছে বড়সড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এদিন উদ্বোধনের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'কলকাতা পুলিশের দশম ডিভিশন হল ভাঙড়।'