দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: বাঙালির কাছে পুজোর ছুটি মানেই বাঁধভাঙা আনন্দ আর ভ্রমণের হাতছানি। এই আনন্দের তালিকায় সবার উপরে থাকে পাহাড়। প্রকৃতির নিবিড় সান্নিধ্যে পাহাড়ে ছুটি কাটানোর মজাই আলাদা। তবে বর্তমানে আবহাওয়ার পর্যটকদের কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কিছুদিন আগে উত্তরবঙ্গে অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি যা তৈরি হয়েছিল, তা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে যে পাহাড় সফরের জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকা জরুরি।
ওয়াটারপ্রুফ স্মার্টফোন বা মোবাইল কভার—
পাহাড়ে বৃষ্টি যে কোনও সময় নামতেই পারে। আজকাল ফোন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও কাজের জিনিস। অচেনা জায়গায় বহু বিপদ এড়ানো সম্ভব যদি সঙ্গে মোবাইল ফোন থাকে। তাই ফোন ভিজে গেলে বিপদ বাড়ে। যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়া, ছবি তোলা বা নেভিগেশন ব্যবহারে অসুবিধার মতো নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। ওয়াটারপ্রুফ স্মার্টফোন অথবা নিদেনপক্ষে একটি ভালো মানের ওয়াটারপ্রুফ কভার সঙ্গে রাখা খুব দরকারি। তাতে ফোন সুরক্ষিত থাকবে, সঙ্গে আপনিও।
পাওয়ার ব্যাঙ্ক এবং সোলার চার্জার—
পাহাড়ি অঞ্চলে বিদ্যুৎ সংযোগ সবসময় নির্ভরযোগ্য হয় না। তাই ভালো ক্যাপাসিটির পাওয়ার ব্যাঙ্ক বা সোলার চার্জার রাখলে ফোন, ক্যামেরা বা টর্চ চার্জ করা যায় সহজে। সোলার চার্জার সূর্যের আলোয় কাজ করে। তাই দূরবর্তী অঞ্চলে এটি বিশেষভাবে উপযোগী।
ওয়াটারপ্রুফ ব্যাকপ্যাক এবং ব্যাগ কভার—
বৃষ্টি শুরু হলে ব্যাগের মধ্যে রাখা পোশাক, ইলেকট্রনিক ডিভাইস বা খাবার নষ্ট হতে পারে। তাই ওয়াটারপ্রুফ ব্যাকপ্যাক বা ব্যাগ কভার রাখলে জিনিসপত্র থাকবে নিরাপদ।
হেডল্যাম্প বা ওয়াটারপ্রুফ টর্চ—
পাহাড়ে সন্ধে নামে দ্রুত। তাছাড়া প্রবল বৃষ্টিতে দৃশ্যমানতা আরও কমে যায়। তাই হাতে রাখুন একটি হেডল্যাম্প বা শক্তিশালী টর্চলাইট। ওয়াটারপ্রুফ টর্চ হলে বৃষ্টিতে ব্যবহার করতেও ভয় থাকবে না।
স্মার্ট ওয়াচ বা ফিটনেস ব্যান্ড (জিপিএস যুক্ত)—
এই ডিভাইসগুলি শুধু সময় দেখায় না। আপনি ডেরা থেকে কতটা দূরে হেঁটে এসেছেন, আপনার হার্ট রেট কেমন আছে তাও বলে দেয়। সুতরাং সময় দেখার সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখাও সহজ হয়। তাছাড়া এতে থাকে লোকেশন ট্র্যাকিং অপশন। তাই বৃষ্টির মধ্যে পথ হারিয়ে গেলেও ভয় নেই। জিপিএস ফাংশন হয়ে উঠতে পারে রক্ষাকবচ।