দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ইদানিং 'বিকল্প চাষ' কথাটা খুবই প্ৰচলিত। এক জমিতে একই ধরনের চাষ বার বার করলে জমির উৎপাদন ক্ষমতা কমে যায়। তাছাড়াও দুটি চাষের মাঝে ২/৩ মাস সময় পেলে অন্য কোনো চাষ করা যায় ওই জমিতে। এবার সেই বিকল্প চাষের সাফল্য মিলল ঝিঙে চাষে। কৃষি দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যাঁরা কৃষিকাজ করে ভাল মুনাফা অর্জন করতে চান তাঁরা শস্যের বদলে সবজি চাষ করতে পারেন। অন্তত এই বছরের কৃষিব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সবজি চাষ অত্যন্ত ভাল একটি বিকল্প হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে বর্তমানে বিশেষ করে ঝিঙের চাষ করে অনেক কৃষক শুধু যে ভাল মুনাফাই করছেন তা নয়, অন্য কৃষকদের জন্যও দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন। দেশের বাজারে তাজা ঝিঙে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে।
তাই অন্যান্য সবজির তুলনায় ঝিঙে বেশি ফলদায়ক। বেলে বা দোআঁশ মাটিতে এর চাষও ভাল হয়। সবচেয়ে ভাল বিষয় হল যে কোনও ক্ষুদ্র জমির কৃষকও এর চাষ করতে পারেন। মাত্র এক বিঘা জমিতে পরিশ্রম করেও ভাল ঝিঙের উৎপাদন হতে পারে। কিষাণগঞ্জের ডেঙ্গাপাড়ের কৃষক দিলীপ লাল সিং জানান, এই বছর তিনি তিন বিঘা জমিতে ঝিঙে চাষ করেছেন। তিনিই জানিয়েছেন, এই বছর বাজারে দাম ভাল থাকায় কৃষকরা কমপক্ষে তিন লক্ষ টাকা সহজেই আয় করতে পারবেন। কৃষক দিলীপ সিং আরও জানান যে, তাঁদের ক্ষেতে প্রতিদিন ৪-৫ জন শ্রমিক কাজ করেন। মোট ১০ বিঘা জমিতে সবজি চাষ হয়। এই বছর তিনি ৩ বিঘা জমিতে ঝিঙে, ২ বিঘা জমিতে অন্য শস্য, দেড় বিঘা জমিতে বেগুন এবং আড়াই বিঘা জমিতে আদা চাষ করছেন। তাঁর মাসিক আয় ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা। কৃষি দপ্তরের পরামর্শ নিয়ে শুরু করা যায় বিকল্প চাষ - 'ঝিঙে'।