দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ইদানিং বিকল্প চাষের প্রতি কৃষকদের উৎসাহিত করছে কৃষি দপ্তর। কৃষি দপ্তর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে ত্রিপুরায় ব্যাপক ভুট্টার ফলন হয়েছে। কৃষক গৌরাঙ্গ শীল বাংলানিউজকে জানান, এলাকাটি কৃষি প্রধান হলেও চাষিরা সাধারণত প্রচলিত শাকসবজি ও ফসলের বাইরে অন্য কিছু চাষ করার ঝুঁকি নিতে চান না। ত্রিপুরা সরকারের কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দফতরের স্থানীয় কর্মকর্তা দেবব্রত পালের উৎসাহে এ বছর ৬ জন কৃষক ভট্টা চাষ করেছেন। সব মিলিয়ে তারা প্রায় তিন হেক্টর জমিতে বর্ষাকালীন মৌসুমে ভুট্টা চাষ করেছেন। তারা ভুট্টা চাষ করে ব্যাপক লাভবান বলেও জানান তিনি।
কৃষি কারিগর গৌরাঙ্গ উৎফুল্ল হয়ে জানান,এপ্রিল ও মে মাসে তারা জমিতে ভুট্টার বীজ বপন করেছিলেন। ইতিমধ্যে বেশিরভাগ জমির ভুট্টা আবাদ হয়ে গিয়েছে, সামান্য কিছু জমিতে এখনো ভুট্টা রয়েছে। এগুলোও খুব দ্রুত আবাদ হয়ে যাবে। সব মিলিয়ে বিঘা পিছু তাদের খরচ হয়েছে সাত থেকে আট হাজার টাকা এবং প্রতিবিঘায় ভুট্টার ফলন হয়েছে এক হাজার থেকে ১২০০ কেজি। প্রতি কেজি ভুট্টা তারা পাইকারি মূল্যে ২০ থেকে ৩০ টাকা দামে বিক্রি করছেন। এগুলো বিক্রি করে বিঘা পিছু প্রায় ৩৭ হাজার টাকা আয় হয়েছে। গৌরাঙ্গ শীল আরও জানান, কাঁচা অবস্থায় ভুট্টা মানুষের খাবার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তাছাড়াও পাকা ভুট্টা বিভিন্ন খাবার তৈরীর কাজে লাগে। ভুট্টার কোনো অংশ ফেলার নয়। ভুট্টা গাছের বিভিন্ন অংশ পশু খাদ্য তৈরিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।