দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ আমাদের দেশে এই ফল চাষ তেমন হতো না। কারণ সেভাবে ফল ফলত না। এবার কৃষি দপ্তরের পরামর্শে ব্যাপক সাফল্য পেলেন কালিয়াগঞ্জেরের নার্সারি মালিক জীবন সাহা। উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ এ প্রথম পরীক্ষামূলক ভাবে চাষ হচ্ছে রুটি ফল । বিদেশি এই রুটি ফল থেকেই তৈরি করা যায় রুটি । যার স্বাদ সাধারণ রুটি থেকে আলাদা তবে রুটির মত খাওয়া যায় ভারী খাবার হিসেবে। অসাধারণ পুষ্টিগুণে ভরপুর এই রুটি ফল বা ব্রেড ফ্রুট এখন চাষ হচ্ছে কালিয়াগঞ্জ এর এক নার্সারিতে। চাষ করছেন নার্সারির মালিক গোবিন্দ সাহা। গোবিন্দ বাবু জানান ছয় মাস আগে তিনি বাংলাদেশ থেকে এই রুটি ফলের চারা গাছ এনে এটা পরীক্ষা মূলক ভাবে তার নার্সারিতে লাগিয়ে ছিলেন। অবশ্য এ ব্যাপারে তিনি কৃষি দপ্তরের পরামর্শ নিয়েছিলেন।
সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের দিকে গোবিন্দ সাহা এই রুটি ফলের গাছ গুলি লাগিয়েছেন। গোবিন্দ বাবু বলেন ,এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় এই গাছে ফুল আসে । এবং অগাস্টের শুরু থেকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত এই গাছে ফল সংগ্রহ করা যায়। একটি বড় আকৃতির গাছে প্রতি মৌসুমে ৫ শতাধিক ফল ধরে। প্রতিটি ফলের ওজন ৫০০ গ্রাম থেকে ৬ কেজি ওজনের হয়ে থাকে। গোবিন্দ বাবু জানান, এই রুটি ফল দেখতে অনেকটা কাঁঠালের মত এমন কি গাছ থেকে ফল সংগ্রহ করার সময় কাঁঠালের মত সাদা কস ও বের হয়। ফলটি দেখতে কাঁঠালের মতো হলেও খেতে কিন্তু মিষ্টি আলুর মতই হয়।
যেহেতু এই গাছের কোনো বীজ হয় না,তাই গাছ তৈরি করতে হয় অন্যভাবে। চারা উৎপাদিত হয় গাছের মূল থেকে এছাড়াও গুটি কলম পদ্ধতির মাধ্যমে ও গাছের বংশ বিস্তার করা যায়। এই রুটি ফলগুলি হালকা ছায়াযুক্ত জায়গায় সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠে। গরমের মরশুমে ছোট চারা গাছে প্রতিদিন জল দিতে হয় ও দু মাসে একবার জৈব সার গাছের গোড়ায় দিতে হয়।এটি এমন একটি ফল যেটি যে কেউ চাইলে রুটি বা তরকারি হিসেবেও খেতে পারেন। এমনকি গম বা চালের বিকল্প হিসেবে কিংবা পিঠে ও পায়েস করেও খাওয়া যায় এই রুটি ফল।এই রুটি ফল নিয়ে উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা বলেন, এই রুটি ফল সাধারণত ইন্দ্রোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড সহ উষ্ণ অঞ্চলীয় দেশ গুলোতে মূলত এটি চাষ করা হয়। সুষম খাবারের সবকটি উপাদান রয়েছে এই রুটি ফলে।