দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ পুঁই শাকের পুষ্টিগুন অজস্র। বাজারে এর চাহিদাও প্রচুর। সেই পুঁইশাক এবার নতুন আশা দেখাচ্ছে বাদুড়িয়ায় কৃষকদের। এবার বাণিজ্যিকভাবে পুঁইচাষ হচ্ছে বসিরহাটে। শুধু শাকের জন্য নয়, পুঁই বীজ বা পুঁইমেটুলির পর্যাপ্ত যোগানের জন্য শুরু হল চাষ। পুঁইমিটুলিতে পুঁই শাকের চেয়ে তিনগুণ বেশি আঁশ ও বর্জ্য পদার্থ রয়েছে। আঁশ মানব শরীর থেকে রোগজীবাণু বার করতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, ফিশচুলা ও হেমোরয়েড হওয়ার আশঙ্কা কমায়। এই শাকের বীজ পাকস্থলী ও কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে উপকারী। পুঁই বীজ নিয়মিত খেলে রক্তে চর্বি বাড়ার ভয় নেই। ইদানিং গবেষণায় দেখা গেছে পুঁই মেটুলি একাধিক রোগের প্রতিষেধক।
পুঁইমিটুলিতে পুঁই শাকের চেয়ে তিনগুণ বেশি আঁশ ও বর্জ্য পদার্থ রয়েছে। আঁশ মানব শরীর থেকে রোগজীবাণু বার করতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, ফিশচুলা ও হেমোরয়েড হওয়ার আশঙ্কা কমায়। এই শাকের বীজ পাকস্থলী ও কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে উপকারী। পুঁই বীজ নিয়মিত খেলে রক্তে চর্বি বাড়ার ভয় নেই। এ বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। আয়রন সমৃদ্ধ এই বীজ মেটাবলিজম বা বিপাক ক্রিয়া সহজ করে ক্যালরি ক্ষয় করতে সাহায্য করে। ওজন কমাতে সাহায্য করে। পুঁইশাকের মত পুঁই বীজের আঁশ শুক্রাণুর সক্রিয়তা বৃদ্ধি করে। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই পুঁই বীজের চাহিদা দিনদিন বেড়েই চলেছে। আর সে’জন্য পুঁইশাক নয়, পুঁই বীজের জন্যই বাণিজ্যিকভাবে এই চাষ করেছেন বসিরহাটের বাদুড়িয়ার কৃষকরা।
চিরাচরিত ঋতুভিত্তিক চাষ ছেড়ে পুঁই চাষে মেতেছেন বাদুড়িয়ার কৃষকরা। এক সময় চাষ বলতে শুধুমাত্র ঋতুভিত্তিক ধান-গম-পাট চাষ-ই বোঝাত। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বদলেছে চাষের ধরন। কম সময় ও পরিশ্রমে বেশি লাভের আশায় চাষিরা চিরাচরিত ঋতুভিত্তিক চাষ ছেড়ে পুঁই চাষে জোর দিচ্ছেন। কৃষকদের উৎপাদিত পুঁইবীজ স্থানীয় বাজার থেকে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে যায়।