Life Style News

2 weeks ago

World Environment Day: বাড়তে বাড়তে ২০০০ বছরে রেকর্ড ছুঁল তাপমাত্রা! ভোট বাজারে আজও বাদ পরিবেশ-প্রসঙ্গ

World Environment Day
World Environment Day

 

 দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃভোট আসে, ভোট যায়। ক্ষমতার মুখ কখনও বদলায়, কখনও একই থাকে। কিন্তু পরিবেশ নিয়ে ঔদাসিন্যের ছবিটা খুব কিছু বদলায় না। বাড়তে থাকে দূষণ, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে বিশ্ব উষ্ণায়ন। আর এসবের মাঝে ক্যালেন্ডারের পাতা ঘুরে ফিরে ফিরে আসে একটা দিন। ৫ জুন। বিশ্ব পরিবেশ দিবস। সারা দুনিয়ার সমস্ত মানুষকে পরিবেশ নিয়ে সচেতন করতে একটা আস্ত দিন।

এ বছরের সালের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের থিম 'Our land. Our future. We are #GenerationRestoration'. দায়িত্ব নিতে হবে নতুন প্রজন্মকে, পরিবেশকে সুন্দর করে তোলার দায়িত্ব, এ পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে তোলার দায়িত্ব।

১৯৭২ সালে 'স্টকহোম কনফারেন্স অন হিউম্যান এনভায়রনমেন্ট'-এ ৫ জুন দিনটিকে বিশ্ব পরিবেশ দিবস হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল। ১৯৭৩ সালে প্রথম বার উদযাপিত হয় 'বিশ্ব পরিবেশ দিবস।' স্লোগান ছিল, 'ওনলি ওয়ান আর্থ।' স্টকহোম কনফারেন্স থেকে 'ইউনাইটেড নেশনস এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম' বা UNEP নামে একটি আন্তর্জাতিক মঞ্চও তৈরি করা হয়। গত ৫১ বছর ধরে পালিত হচ্ছে পরিবেশ দিবস।

গ্লোবাল ওয়ার্মিং (Global Warming ) অর্থাৎ বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে ক্রমশ সমুদ্রের জলস্তর বাড়ছে, হিমবাহ গলছে, তাপমাত্রার পারদ চড়ছে একটু একটু করে, এই সংক্রান্ত নিত্য নতুন পরিসংখ্যান সামনে আসছে। এবার নাকি গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর দিন শেষ, সামনে আসতে চলেছে আরও কঠিন পরিস্থিতি । বিশ্ব উষ্ণায়নের যুগ পার করে এবার পৃথিবী প্রবেশ করেছে গ্লোবাল বয়েলিং (Global Boiling) যুগে । এমনই আশঙ্কার কথা শোনালেন রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস (António Guterres) ।

সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, উত্তর গোলার্ধে ২০২৩ সালের গ্রীষ্মকাল ছিল উষ্ণতম। কত বছরের মধ্যে উষ্ণতম? ২০০০ বছরের মধ্যে!

প্লাস্টিক দূষণের খবর রোজ খবরে প্রকাশিত হচ্ছে। সমুদ্রের তলদেশে তৈরি হচ্ছে প্লাস্টিকের পাহাড়। জলের তলায় থাকা প্রাণীদের শরীরে মিলছে প্লাস্টিকের অংশ। বিশ্ব উষ্ণায়নের কথাও অজানা নয়। বিশ্বজুড়েই তাপমাত্রা বাড়ছে, মেরু প্রদেশে বরফ গলতে শুরু করেছে। প্রতি বছরের তাপমাত্রা আগের বছরের রেকর্ড ছাপিয়ে যাচ্ছে।

বনাঞ্চল ন্যাড়া হচ্ছে ক্রমশ। আর এই সব কারণেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে কত শত প্রজাতির প্রাণ। ফলে ক্রমশ কমে যাচ্ছে জৈব বৈচিত্র। ভাল নেই পৃথিবী । শুধু নিজেদের জাগতিক চাওয়া পাওয়ার বাইরে একটু যদি পরিবেশকে নিয়ে ভাবি আমরা, পরিবেশও আমাদের ফিরিয়ে দেবে অনেকটা ভালবাসা।

বিপুলা এ পৃথিবীতে যেখানে যেখানে প্রাণের সঞ্চার, তার সবটুকু নিয়েই জৈব বৈচিত্র, সেই জৈব বৈচিত্রের সঙ্গে পাহাড়, নদি, মরুভুমি, জঙ্গল , সবটুকু নিয়ে আমাদের পরিবেশ। পরিবেশ দুষণের প্রভাব পড়ছে আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর, কঠিন অসুখ গ্রাস করছে আমাদের শরীর, মন। আর সারা পৃথিবীর কত লক্ষ কোটি প্রাণ নিঃশব্দে হারিয়ে যাচ্ছে চিরদিনের মতো।

মানুষ ছাড়া এই পৃথিবীর ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র প্রাণ বাঁচল, না হারিয়ে গেল, কিম্বা গোটা প্রজাতিই বিলীন হয়ে গেল, তা নিয়ে আমরা উদাসীন। যে প্রাণকে দেখতেই পাইনা, অথবা নাম জানি না, কিম্বা নাম জানি, কিন্তু আমার কাজে আসে না, তাঁর বেঁচে থাকা, না থাকা নিয়ে মাথা ঘামাবই বা কেন? ঘামাব, কারণ, পৃথিবীর জৈব বৈচিত্র নষ্ট হলে তাঁর আঁচ কিন্তু একটু একটু করে আমাদের ওপরেই এসে পড়বে, এই মানব সভ্যতার ওপর।


You might also like!